বাংলাহান্ট ডেস্কঃ এখনই থামবে না বৃষ্টি, এমনটাই জানিয়ে দিল আবহাওয়া দফতর (Weather office)। কিছু জায়গায় আংশিক মেঘলা আকাশ বিরাজ করলেও, আবারা কোন কোন জায়গায় কিন্তু ভারি বৃষ্টিপাতের সম্ভাবনা রয়ে যাচ্ছে। সকাল থেকেই রৌদ্রজ্জ্বল দিনের প্রকাশ ঘটলেও, বেলা বাড়ার সাথে সাথে আবহাওয়ার পরিবর্তন হতে পারে। হতে পারে বজ্রপাতও। রবিবার পর্যন্ত রয়েছে এই বৃষ্টির আশঙ্কা। এর পাশাপাশি আগামী ৭২ ঘণ্টায় দক্ষিণবঙ্গে প্রবল বৃষ্টির সঙ্গে কালবৈশাখীরও সম্ভাবনা রয়েছে।
দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, দুই বর্ধমান, বীরভূম, নদিয়া, মুর্শিদাবাদে রয়েছে ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার। আবার, শনিবার দিন ওইসব অঞ্চলে ঝড় বৃষ্টির সঙ্গে ঘণ্টায় ৫০-৬০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়াও বইতে পারে। আবার নতুন সপ্তাহেও থাকবে ঝড়ের আবহাওয়া। সোমবার হতে পারে প্রবল ঝড় বৃষ্টিসহ বজ্রপাত।
গতকাল শহর কলকাতার (Kolkata) তাপমাত্রা ছিল সর্বোচ্চ ৩১ ডিগ্রির আশেপাশে এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। ঝড় বৃষ্টির ফলে এপ্রিলের প্রবল গ্রীষ্মের মধ্যেও কলকাতার আবহাওয়া বেশ নিম্নগামী। আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। আজ রাজ্যের বেশ কয়েকটি অংশে বিক্ষিপ্তভাবে প্রবল ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। তবে বজ্রপাত হওয়ার বেশি আশঙ্কা করছে হাওয়া অফিস। এর পাশাপাশি ঘণ্টায় ২০-৩০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়াও বইতে পারে। আবার হতে পারে তুষারপাতও। চলবে এই বৃষ্টি।
আবার জানিয়ে রাখি, চলতি সপ্তাহে ঝড় বৃষ্টি হলেও মৌসম ভবন জানিয়েছে, এবারে বর্ষা ঢুকবে সঠিক সময়ে। দক্ষিণ -পশিম মোয়সুমি বায়ুর প্রভাবে এবছর বর্ষা জুন থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে বর্ষার আগমন ঘটবে। স্বাভাবিক সময়েই হবে এই বৃষ্টি। এতে করে কৃষি কাজেও খুব একটা সমস্যা সৃষ্টি হবে না। কৃষকদের জন্যও এল সুখবর। এর পাশাপাশি জুনের প্রথমেই কেরালায় বর্ষা প্রবেশ করবে। এবং তারপর তা পানজিম, পুনে ও মুম্বই হয়ে রাজধানীতে প্রবেশ করবে।