বাংলাহান্ট ডেস্কঃ এবছর কিছুটা হলেও প্রবল দাবদাহের হাত থেকে রক্ষা পেল মানুষজন। আবহাওয়ার (Weather) তারতম্যের কারণে প্রবল গ্রীষ্মের সময়েও চলতে ঠান্ডা মেজাজ। মানুষজন এসি চালানোর বদলে, গায়ে চাদর চাপা দিচ্ছে। গরমে হাঁসফাঁস করতে থাকা প্রাণীকুল, এখন বর্ষার আমেজে বিভোর। এরই মধ্যে আলিপুর আবহাওয়া দফতর (Weather office) জানাচ্ছে, সপ্তাহভোর চলবে এই বৃষ্টি, এখনই থামছে না। আজ বিক্ষিপ্তভাবে রাজ্যের বেশ কয়েকটি জায়গায় হালকা ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে।
দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর, হাওড়া, হুগলি, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, দুই বর্ধমান, বীরভূম, নদিয়া, মুর্শিদাবাদে রয়েছে ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা বৃহস্পতিবার এবং শুক্রবার। আবার, শনিবার দিন ওইসব অঞ্চলে ঝড় বৃষ্টির সঙ্গে ঘণ্টায় ৫০-৬০ কিমি বেগে ঝোড়ো হাওয়াও বইতে পারে। আবার নতুন সপ্তাহেও থাকবে ঝড়ের আবহাওয়া। সোমবার হতে পারে প্রবল ঝড় বৃষ্টিসহ বজ্রপাত। আবার সপ্তাহের মাঝামাঝিতে আন্দামান সাগর থেকে নিম্নচাপ তৈরি হয়ে দক্ষিণ-পূর্ব বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় হওয়ার সম্ভাবনাও রয়েছে।
গতকাল শহর কলকাতার (Kolkata) তাপমাত্রা ছিল সর্বোচ্চ ২৯ ডিগ্রির আশেপাশে এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। ঝড় বৃষ্টির ফলে এপ্রিলের প্রবল গ্রীষ্মের মধ্যেও কলকাতার আবহাওয়া বেশ নিম্নগামী হলেও, আজ তাপমাত্রা কিছুটা বৃদ্ধি পাবার সম্ভাবনা রয়েছে। আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৩ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। রাজ্যের বেশকিছু এলাকায় মাঝারি থেকে ভারি বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। এর পাশাপাশি ঝড়, বৃষ্টি এবং বজ্রপাতেরও আশঙ্কা করছে হাওয়া অফিস। সকালের দিকে সূর্যের রোদের ছটা দেখা গেলেও, বেলা বাড়ার সাথে সাথে আবহাওয়ার পরিবর্তন হতে শুরু করবে।
আবার জানিয়ে রাখি, চলতি সপ্তাহে ঝড় বৃষ্টি হলেও মৌসম ভবন জানিয়েছে, এবারে বর্ষা ঢুকবে সঠিক সময়ে। দক্ষিণ -পশিম মোয়সুমি বায়ুর প্রভাবে এবছর বর্ষা জুন থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে বর্ষার আগমন ঘটবে। স্বাভাবিক সময়েই হবে এই বৃষ্টি। এতে করে কৃষি কাজেও খুব একটা সমস্যা সৃষ্টি হবে না। কৃষকদের জন্যও এল সুখবর। এর পাশাপাশি জুনের প্রথমেই কেরালায় বর্ষা প্রবেশ করবে। এবং তারপর তা পানজিম, পুনে ও মুম্বই হয়ে রাজধানীতে প্রবেশ করবে।
সূত্রের খবর, বাংলাদেশ ও মধ্য প্রদেশে ঘূর্ণাবর্ত সৃষ্টি হওয়ায় তা, উত্তর বাংলাদেশ গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গ দক্ষিণ বিহার ও মধ্যপ্রদেশের উপর দিয়ে বিস্তৃত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। যার দরুণ চলতি সপ্তাহেও বৃষ্টি চলবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।