বাংলাহান্ট ডেস্কঃ আম্ফান দূর্বল হলেও এখনো সক্রিয় জোড়া ঘূর্ণাবর্ত। যার জেরে মঙ্গলবার পর্যন্ত বৃষ্টির পূর্বাভাস দিল আবহাওয়া দপ্তর। উত্তর ও দক্ষিণবঙ্গ সর্বত্রই হতে পারে বৃষ্টি।পাশাপাশি শিলাবৃষ্টির সম্ভাবনাও থাকছে। কোথাও কোথাও হাওয়ার গতিবেগ ঘণ্টায় ৩০ থেকে ৪০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টা হবে। মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান, হাওড়া, হুগলি, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা ও কলকাতায় রয়েছে ঝড় বৃষ্টির সম্ভাবনা।
শহরের তাপমাত্রা
গতকাল কলকাতা শহরের সকালে তাপমাত্রা ছিল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। বৃহস্পতিবার তাপমাত্রা সামান্য হলেও বৃদ্ধি পেয়েছে। আজ কলকাতায় তাপমাত্রা থাকবে সর্বোচ্চ ৩৪ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে। সকাল থেকে মেঘ মুক্ত উজ্জ্বল আকাশের উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেলেও, ৭২ ঘণ্টার মধ্যে কালবৈশাখীর হাওয়া অফিস। তবে বেশ কিছু জায়গায় হালকা বৃষ্টি এবং বজ্রবিদ্যুত সহ ঝড়েরও সম্ভাবনা রয়েছে।
ঘূর্ণিঝড়ের নামকরণ
২০০৪ সালে আটটি দেশের আবহাওয়া বিভাগ দ্বারা সূচিত ঘূর্ণিঝড়ের নামের পূর্বের তালিকাটি উত্তর ভারত মহাসাগর, বঙ্গোপসাগর বা আরব সাগরে আরও এই ঘূর্ণিঝড়ের পরে শেষ হয়ে যাবে। পরবর্তী ঘূর্ণিঝড়টির নাম দেওয়া হবে ‘আম্ফান’, থাইল্যান্ডের প্রস্তাবিত একটি নাম, যা ২০০৪ সালের তালিকায়ও শেষ।
আইএমডির মহাপরিচালক মৃতুঞ্জয় মহাপাত্র জানিয়েছেন, 2018 সালে ভবিষ্যতের ঘূর্ণিঝড়ের জন্য সমন্বয় ও নাম নির্ধারণের জন্য একটি নতুন প্যানেল গঠন করা হয়েছিল। সেই অনুযায়ী বাংলাদেশ, ভারত, ইরান, মালদ্বীপ, মায়ানমার, ওমান, পাকিস্তান, কাতার, সৌদি আরব, শ্রীলঙ্কা, থাইল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ইয়েমেন এই অঞ্চলের ঘূর্ণিঝড় গুলির নাম দেয়।