বাংলাহান্ট ডেস্ক / আবহাওয়া : অবশেষে স্বস্তির খবর দিল আবহাওয়া দপ্তর (weather update)। আবহাওয়া দপ্তর সূত্রে জানা যাচ্ছে যে, আজ থেকে উত্তরের ৫ জেলায় বৃষ্টি কিছুটা কমবে। পাশাপাশি বৃষ্টি বাড়তে চলেছে দক্ষিণের জেলাগুলিতে।
দক্ষিণবঙ্গে কিছুক্ষণের মধ্যে ধেয়ে আসছে ঘোর বর্ষা, জানাচ্ছে আবহাওয়া দফতর। বঙ্গোপসাগরের উপর বিরাজ করা নিম্নচাপ এবং সেই সঙ্গে সঙ্গী হয়েছে দিক পরিবর্তিত মৌসুমি বায়ু, এই দুইয়ের প্রভাবেই রাজ্যে বৃষ্টির পরিমাণ বাড়বে বলে আশা রাখছে হাওয়া অফিস। যার জেরে এবার বৃষ্টিতে ভাসবে দক্ষিণ বাংলাও।
কলকাতা, হাওড়া, হুগলি-সহ একাধিক জেলায় হালকা থেকে ভারী বৃষ্টিপাত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নদিয়া, মুর্শিদাবাদ, বীরভূম, পূর্ব বর্ধমান, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুরে রয়েছে ভারী বৃষ্টির সতর্কতা। আজ সর্বোচ্চ তাপমাত্রা থাকবে ৩২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে এবং সর্বনিম্ন তাপমাত্রা থাকবে ২৬ ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশেপাশে।
পাশাপাশি, গত কয়েকদিনের অতি ভারী বৃষ্টিতে দুকুল ছাপিয়ে বইছে বিহারের নদী গণ্ডক। নেপালে অতিবৃষ্টির জেরে জল ছাড়া হয়েছে বাল্মিকী নগর ব্যারেজ থেকে। যার জেরে প্লাবিত বহু গ্রাম। কুচায়াকোটের কালামতিহানিয়া ও সদর ব্লকের পাথারায় গন্ডক নদী বিপদসীমা থেকে প্রায় এক মিটার উপরে প্রবাহিত হচ্ছে।
রবিবার, ছয়টি ব্লকের 39 টি পঞ্চায়েতের প্রায় 178 টি গ্রামে বন্যার জল ঢুকে পড়ে। বন্যার কারনে গ্রামগুলির সড়ক যোগাযোগও ভেঙে গেছে। একই সময়ে, সকালে বড়উলির সালেমপুরে ছড়াকির জল লিক হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। এর পরে ডিএম সলমপুরের উদ্দেশ্যে রওনা হন। রাতে জলের স্তর বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এছাড়াও বিহারে অন্যান্য অঞ্চলেও বাড়ছে জলস্তর। কয়েকবার বাঁধের অবস্থাও ভাল নয়। বেশ কয়েকটি জেলায় বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় আগাম সতর্কতা নেওয়া হয়েছে প্রশাসনের তরফে। ইতিমধ্যেই বন্যার জল ঢুকে ফসলের বিরাট ক্ষতি করেছে বলে জানানো হয়েছে। পাশাপাশি বিভিন্ন অঞ্চলে ভূমিধসের খবরও পাওয়া গিয়েছে।