শীতলকুচির ১২৬ নম্বর বুথ নিয়ে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য! ভিডিও প্রকাশ্যে আনার দাবি সবার

Published On:

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ শনিবার ১০ এপ্রিল চতুর্থ দফার ভোটের দিনে কোচবিহারের শীতলকুচি নিয়ে আবারও নতুন করে প্রশ্ন উঠছে। ১২৬ নম্বর বুথে ঘটে যাওয়া কাণ্ড নিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য এল প্রকাশ্যে। প্রাপ্ত খবর অনুযায়ী, শীতলকুচির ওই ১২৬ নম্বর বুথে সেদিন ওয়েব কাস্টিং হয়নি। সেখানে ওয়েব কাস্টিংয়ের ব্যবস্থা থাকার পরে প্রযুক্তিগত সমস্যার কারণে সরাসরি সম্প্রসারণ নির্বাচন কমিশনের দফতরে পৌঁছায়নি।

কমিশনের সুত্র অনুযায়ী, প্রযুক্তিগত সমস্যার ফলে ওয়েব কাস্টিং সিস্টেম অফলাইন হয়ে যায়, আর এর কারণেই সরাসরি সম্প্রসারণ কমিশনের দফতরে পৌঁছায় নি। তবে সরাসরি দফতরে না পৌঁছালেও গোটা ঘটনাই রেকর্ড হয়েছে। তবে, যা রেকর্ড হয়েছে তা সম্পূর্ণ বুথের ভিতরেরই দৃশ্য। যা কাণ্ড ঘটেছিল, সবই বুথের বাইরে। ফলে ওই রেকর্ডেড ভিডিও থেকে কতটা তথ্য নেওয়া যাবে সেটা নিয়েও সন্দেহ দেখা দিয়েছে।

উল্লেখ্য, রাজ্যের নির্বাচন শুরুর আগেই কমিশনের তরফ থেকে বলা হয়েছিল যে, প্রতিটি বুথে ওয়েব কাস্টিংয়ের বন্দোবস্ত রাখতে হবে। এমনকি কমিশনের তরফ থেকে এও বলা হয়েছিল যে, স্পর্শকাতর বুথের বাইরেও ওয়েব কাস্টিংয়ের বন্দোবস্ত রাখতে হবে। স্পর্শকাতর বুথের বাইরে কোনও অপ্রীতিকর ঘটনা রেকর্ড করার জন্যই কমিশনের তরফ থেকে এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।

এখন তৃণমূলের তরফ থেকে অভিযোগ করা হচ্ছে যে, এটা পূর্বপরিকল্পিত ঘটনা। আর সেই কারণেই কি ওখানে একটা বিকল যন্ত্র লাগিয়ে রাখা হয়েছিল? রিপোর্টে বলা হয়েছিল যে, গ্রামবাসীরা একজোট হয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনীর অস্ত্র ছিনতাই করতে আসে। আর এরপরই বাহিনী নিজের আত্মরক্ষার জন্য গুলি চালায়। তাতে চারজন গ্রামবাসী প্রাণ হারান।

এখন প্রশ্ন উঠছে যে, শীতলকুচির ওই বুথের বাইরে আদৌ কি ওয়েব কাস্টিংয়ের বন্দোবস্ত ছিল? ১২৬ নং বুথ কি আগে থেকেই স্পর্শকাতর ঘোষণা করা হয়েছিল? যদি তা হয়ে থাকে, এবং ওয়েব কাস্টিংয়ের ব্যবস্থা থেকে থাকে, তাহলে সরাসরি সম্প্রসারণ না হলেই ঘটনা রেকর্ড তো হয়ে থাকবে? আর এই কারণে শাসক বিরোধী দুই দলের থেকে আসল ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ্যে আনার দাবি করা হচ্ছে।

X