বাংলাহান্ট ডেস্ক : গত মাস থেকে যা গরম পড়েছে তাতে বঙ্গবাসীর নাভিশ্বাস অবস্থা। বিগত কয়েক দিনের সামান্য বৃষ্টিতে গরম কিছুটা কমলেও সবাই এখনও পাহাড়ে ঘুরতে যেতে চাইছেন। পাহাড় মানে আমাদের মনে প্রথমেই আসে দার্জিলিং কিংবা কালিম্পংয়ের নাম। আবার যাদের বাজেট বেশি থাকে তারা কিছুটা দূরে সিকিম কিংবা হিমালয় ঘুরতে যান। তবে এইসব জায়গায় বর্তমানে পর্যটকের সংখ্যা খুব বেশি।
আগের মতো পাহাড়ের শান্তি এখন আর নেই বললেই চলে। আজকের প্রতিবেদনে আমরা এমন এক হিল স্টেশনের খবর আপনাদের জানাবো যা অনেকটাই নিরিবিলি। দার্জিলিং, কালিম্পং, কার্শিয়াং এর আশেপাশের গ্রামগুলি ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। এর আগে আমরা এইসব অঞ্চলের বিভিন্ন পাহাড়ি গ্রাম সম্পর্কে আপনাদের বলেছি। আজ আমরা আপনাদের বলব বিজনবাড়ির কাছে ঝেঁপি গ্রাম (Jhepi Village) সম্পর্কে।
এই গ্রামের নাম অনেকেরই অজানা , তাই পর্যটকের সংখ্যাও অপেক্ষাকৃত কম। দার্জিলিং আর সিকিমের জোড়থাংয়ের মাঝামাঝি বিজনবাড়ি ব্লকে রয়েছে ঝেঁপি। এই জায়গার নাম একটু অদ্ভুত হলেও, এখানকার প্রকৃতির দৃশ্য কিন্তু আপনার মন হরণ করবে। এই গ্রামকে প্রকৃতি সাজিয়েছে নিজের তুলিতে। পাইন বন থেকে চা বাগান, ফার্ম হাউস থেকে ছোট ঝোরা, এই গ্রামে পেয়ে যাবেন সবকিছু।
এই গ্রাম থেকেই পেয়ে যাবেন মন ভালো করা পাহাড়ের ভিউ। এই জায়গার সকালবেলার রূপ এক রকম, রাতের রূপ অন্যরকম। পাহাড়ি বাতাস, ঝরনার শব্দ, সারি সারি ফুলের বাগান আপনাকে নিয়ে যাবে এক অন্য উচ্চতায়। শীতকালে এই জায়গা ঢেকে যায় বরফ আর কুয়াশায়। গ্রীষ্মকালে প্রকৃতির শোভা চোখে পড়ার মতো। এপ্রিল থেকে জুন মাস পর্যন্ত এই জায়গায় ঘুরতে যাওয়ার আদর্শ সময়।
দার্জিলিংয়ে একদিন কাটিয়ে চলে যেতে পারেন ঝেঁপিতে। দার্জিলিং থেকে মাত্র ৩৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ঝেঁপি। শিলিগুড়ি থেকে ঝেঁপির দূরত্ব প্রায় ১১৫ কিমি। শিলিগুড়ি বা জলপাইগুড়ি থেকে গাড়ি ভাড়া করে পোঁছে যেতে পারেন এখানে। এপ্রিল থেকে জুন মাস পর্যন্ত এখানে বেশ ভালো লাগবে। সেপ্টেম্বর থেকে ডিসেম্বর পর্যন্তও অনেকে ঝেপি বেড়াতে যান। সব মিলিয়ে বলা যায়, দুদিনের ছুটিতে আট থেকে আশি সকলের পারফেক্ট ডেস্টিনেশন।