বাংলাহান্ট ডেস্ক : সুস্থ থাকতে ওজন (Weight) নিয়ন্ত্রণে রাখাটা খুবই জরুরী। কিন্তু বর্তমানে অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন এবং অস্বাস্থ্যকর খাবার দাবারের জন্য বেড়ে যাচ্ছে ওজন। আর এই সমস্যা এখন ঘরে ঘরে। প্রায় প্রত্যেকেই স্থূলতার শিকার। সঠিক ওজন যদি একবার হাতের বাইরে চলে যায় তাহলেই কিন্তু মহাসমস্যা। শরীরের জাঁকিয়ে বসে একাধিক রোগ।
ওজন (Weight) নিয়ন্ত্রণে রাখার নিয়ম
ডায়াবেটিস, হৃদরোগ, রক্তচাপের মতো দীর্ঘমেয়াদী অসুখে ভুগতে হয়। মুঠো মুঠো ওষুধ খেয়েই দিন গুজরান করতে হয়। তাই সময় থাকতে ওজনকে নিজের বসে আনুন। অস্বাস্থ্যকর খাওয়া-দাওয়া এবং অনিয়ন্ত্রিত জীবন যাপন থেকে নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখুন। তাহলেই এড়াতে পারবেন বড় বড় স্বাস্থ্য সমস্যা। দেখুন ওজন (Weight) নিয়ন্ত্রণে আনাটা খুব একটা চ্যালেঞ্জিং বিষয় নয়।
আরোও পড়ুন : কেড়ে নেওয়া হবে মুসলিমদের জমি? ওয়াকফ আইনে সংশোধন হলে কী হবে? জানিয়ে দিল কেন্দ্র
স্বাস্থ্যকর কিছু পদ্ধতি অবলম্বন করলেই ওজন (Weight) আপনার বশে থাকবে। অনেকেই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে খাদ্য তালিকা থেকে এটা সেটা বাদ দিয়ে দেন। বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরা বলছেন এমনটা করা উচিত নয়। এতে পেশী দুর্বল হয়ে পরে। ফলে হিতে বিপরীত হয়। ওজন কমাতে গিয়ে অন্য শারীরিক রোগ বাধিয়ে ফেলেন।
আরোও পড়ুন : স্বামী থাকতেও নজর সলমানেই, বলিউডের এই নায়িকা জানালেন মনের কথা
তবে মনে রাখবেন, ওজন (Weight) কমাতে ডায়েট (Diet) এবং ব্যায়াম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। স্বাস্থ্যকর খাবার, উন্নত জীবনযাপন এবং সঠিক শরীরচর্চার মাধ্যমে ওজন কমানো যায় খুব দ্রুত। পুষ্টিবিদদের মতে, দ্রুত ওজন কমাতে আপনার খাদ্যতালিকায় যতটা সম্ভব টাটকা ফল ও তরতাজা শাকসবজি রাখুন। এতে থাকা প্রচুর পরিমাণে ফাইবার দীর্ঘক্ষণ পেট ভরা রাখে এবং ক্যালরির পরিমাণ চটজলদি কমাতে সাহায্য করে।
ফলে কয়েক দিনের মধ্যেই কমবে ওজন (Weight)। সবুজ শাক-সবজির মধ্যে যেমন পালং শাক, মেথি এবং স্যালাড রাখুন। এছাড়া প্রোটিন সমৃদ্ধ ডাল, ছোলা, মাছ, মুরগির মাংস এবং ডিম রাখুন আপনার খাদ্যতালিকায়। এই প্রোটিনযুক্ত খাবারগুলি ওজন কমানোর সময় আপনার পেশী শক্তিশালী করবে।
তবে চিনি এবং জাঙ্কফুট একদম খাবেন না।খাওয়া-দাওয়ার পাশাপাশি নিয়ম করে শরীর চর্চা করতে হবে। প্রত্যেকদিন অন্তত ৩০ থেকে ৪০ মিনিট হাতে রাখুন কার্ডিও ওয়াকআউট করার জন্য। তার মধ্যে রাখতে পারেন সাঁতার কাটা, দৌঁড়ানো জাম্পিং জ্যাক ইত্যাদি ইত্যাদি। আর যদি শরীরচর্চার জন্য একান্তই সময় না পান তাহলে হাটার চেষ্টা করুন।
লিফটের বদলে সিঁড়ি ব্যবহার করুন। আর হ্যাঁ ওজন কমাতে জলের ভূমিকা কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ। নিয়ম করে প্রত্যেকদিন ৮ থেকে ১০ গ্লাস জল অবশ্যই পান করুন। জল খাবারকে পরিপাক করতে সহায়তা করে। শরীরকে হাইড্রেট রাখে। তবে রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে জল খাবেন না। এতে ঘুমে ব্যাঘাত ঘটতে পারে।
ওজন (Weight) কমানোর ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত ঘুমেরও জরুরী। দিনে কমসেকম সাত থেকে আট ঘণ্টা অবশ্যই বিশ্রাম নিন। ব্যাস এই কয়েকটা টিপস অনুসরণ করলেই পুজোর আগে আপনি স্লিম অ্যান্ড ফিট থাকতে পারবেন খুব সহজে। সুতরাং আর দেরি না করে আজ থেকেই শুরু করে দিন এই অভ্যেসগুলি।