কোনও তথ্য নেই মমতার লখনউ সফরের, তৃণমূলের টুইটার হ্যান্ডেলে শ্মশানের নীরবতা! জল্পনা তুঙ্গে

বাংলাহান্ট ডেস্ক : গত ৪ ফেব্রুয়ারি নিজেদের অফিসিয়াল ট্যুইটার হ্যান্ডেলে সেই বিতর্কিত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে তৃণমূল। আর ঠিক তার পর থেকেই যেন শ্মশানের নিরবতা সামাজিক মাধ্যমের সেই পাতায়। মাঝখানে ৬টি দিন পেরোলেও সেখানে নেই কোনো ‘আপডেট’। এর মধ্যে কোনো উল্লেখযোগ্য ঘটনা ঘটেনি এমনটাও নয়। তাহলে কেন এই পিন পড়া নিস্তব্ধতা? জল্পনা তুঙ্গে দেশ জুড়ে।

গত ৪ তারিখ পুরভোটের প্রার্থী তালিকা প্রকাশ করে তৃণমূল। সেই তালিকা প্রকাশিত হয় দলের অফিসিয়াল স্যোশাল মিডিয়া পেজেও। তারপর থেকেই সেই তালিকাকে ঘিরে তৈরি হয় একের পর এক বিতর্ক। দলের শীর্ষ নেতৃত্বের তরফে দাবি করা হয় প্রথমে প্রকাশিত তালিকাটি ভুল। এরপর পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং সুব্রত বক্সীর তৈরি করা তালিকাকেই চুড়ান্ত মান্যতা দেন মুখ্যমন্ত্রী। আগের তালিকাটি বাতিল করে এই দ্বিতীয় তালিকাকেই অনুসরণের নির্দেশ দেন তিনি। কিন্তু প্রশ্ন উঠতে থাকে ভুল তালিকা তাহলে প্রকাশ হল কীভাবে সামাজিক মাধ্যমে।

এখানেই প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাককে কাঠগড়ায় তোলে তৃণমূল। সেখানে একাধিক তৃণমূল নেতার বক্তব্য থেকে একথা স্পষ্ট হয় যে অতিসক্রিয়তা নিয়ে দলের নেতাদের সঙ্গে বিরোধ থাকায় নেতাদের সুপারিশ না শুনে নিজেদের ইচ্ছে মত তৈরি করা প্রার্থী তালিকাটিই প্রকাশ করেছে আইপ্যাক। এই ‘ভুল’ তালিকা প্রকাশের পর থেকে বিতর্ক এবং সমস্যা তৃণমূলের নিত্যসঙ্গী। টিকিট না পাওয়ার অভিযোগে দল ছেড়েছেন একাধিক পুরোনো নেতা। পিকের সঙ্গে দলের ঘনিষ্ঠতা নিয়েও কটাক্ষ করতে দেখা গেছে বহু শীর্ষ নেতৃত্ব সহ জেলাস্তরের নেতাদেরকে।

এহেন পরিস্থিতিতে প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে বাদানুবাদে জড়ান খোদ মুখ্যমন্ত্রীও। এরপরই পিকে একটি মেসেজ করে তাঁকে জানিয়ে দেন বাংলা, ত্রিপুরা এবং মেঘালয়ে তৃণমূলের সঙ্গে কাজ করবে না আইপ্যাক।

এরই মধ্যে ঘটেছে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাও। অখিলেশ যাদবের হয়ে প্রচারে লখনউ সফর করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানে সাংবাদিক সম্মেলনে কেন্দ্রকে আক্রমনও শানান তিনি। গোয়াতেও চলছে শেষ মুহুর্তের জোট প্রচার। কিন্তু এসবের কোনোটিরই কোনো ছবি, ভিডিও বা পোস্ট নেই তৃণমূলের কোনো অফিসিয়াল স্যোশাল মিডিয়া পেজে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের ট্যুইটার নিজে ব্যবহার করলেও সেখানেও নেই এই সম্পর্কিত কোনো রাজনৈতিক পোস্ট।

কিন্তু হঠাৎ কেন এই নীরবতা? অনেকের দাবি, তৃণমূলের অফিসিয়াল স্যোশাল মিডিয়া পেজগুলি দেখভাল করত প্রশান্ত কিশোরের সংস্থা আইপ্যাক। কিন্তু আপাতত বেশ কিছুটা তিক্ত পিকে-তৃণমূল সম্পর্ক। দলের অন্দরে অনেকের মতে সেই কারণেই এই নীরবতা তৃণমূলের স্যোশাল মিডিয়ায়। যদিও এই তত্ত্বকে মানতে নারাজ অন্যান্যরা। তাঁদের দাবি কোনো প্রযুক্তিগত ক্রুটির কারণেই এই সমস্যা। তাঁদের পালটা দাবি পিকের সঙ্গে ঝামেলার জেরে সমস্যা হলে ত্রিপুরা এবং গোয়ার স্যোশাল মিডিয়া এত সক্রিয় থাকছে কীভাবে! পুরো ঘটনায় গুঞ্জন এবং জল্পনা ছড়ালেও কোনোকিছুরই সদুত্তর নেই কারও কাছে

Katha Bhattacharyya

সম্পর্কিত খবর