বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বাজেটে আশাপূরণ হয়নি। রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য মাত্র ৪% ডিএ (Dearness Allowance) বৃদ্ধি করেছে মমতা সরকার। যেখানে তাদের দাবি ছিল কেন্দ্রীয় হারে ডিএ। এই আবহে সকলের নজর সুপ্রিম কোর্টের দিকে। স্টেট ট্রাইবুনাল অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ (স্যাট) এবং কলকাতা হাইকোর্ট মিলিয়ে বকেয়া ডিএ মামলায় ছয়বার জয় পেয়েছিলেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা। এবার সুপ্রিম কোর্টেও আসবে জয়। সর্বোচ্চ আদালতে সপ্তম জয় আসবে বলে দাবি করলেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের আইনজীবী ফিরদৌস শামিম।
আইনজীবীর কথায়, ‘আগামী ২৫ মার্চ যাতে ডিএ মামলার শুনানি হয়, সেজন্য সুপ্রিম কোর্টের কাছে আর্জি জানানো হয়েছে। ‘ডিএ রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের আইনসংগত অধিকার। আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে সুপ্রিম কোর্টেও জয় মিলবেই। সেটা রোপা রুল ২০০৯-তে বর্ণিত আছে। তাই রাজ্য সরকারি কর্মচারীরা তাদের প্রাপ্য মহার্ঘ ভাতা পাবেন।’ বললেন ফিরদৌস শামিম।
তিনি আরও বলেন, ‘এই মামলার উপরে অনেক রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ভবিষ্যৎ নির্ভর করছে।’ বর্তমানে ষষ্ঠ পে কমিশনের আওতায় ১৪ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা পাচ্ছেন এ রাজ্যের সরকারি কর্মীরা। বাজেটে আরও চার শতাংশ ডিএ-র ঘোষণা করেছে সরকার। অর্থাৎ ১৪+৪= ১৮ শতাংশ। এই বর্ধিত ডিএ কার্যকর হবে আগামী পয়লা এপ্রিল থেকে। এদিকে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা ৫৩% হারে ডিএ পাচ্ছেন। অর্থাৎ কেন্দ্র-রাজ্য ব্যাবধান সামান্য কমে হল ৩৫ শতাংশ।
এদিকে রাজ্য সরকারি কর্মীদের বর্ধিত DA কার্যকর হওয়ার আগেই ২৫ মার্চ সুপ্রিম কোর্টে বকেয়া মহার্ঘ ভাতা মামলা শুনানির জন্য উঠতে পারে। সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) যে মামলা চলেছে তা পঞ্চম বেতন কমিশনের আওতায় পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ মামলা। আর বর্তমানে ষষ্ঠ পে কমিশনের আওতায় ডিএ পাচ্ছেন বাংলার সরকারি কর্মীরা।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২০ মে এই ডিএ মামলা হাইকোর্টে উঠলে আদালতের নির্দেশ ছিল, তিন মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দিতে হবে। তবে সেবার জয় পেয়েও মেলেনি বকেয়া। উচ্চ আদালতের ডিএ (Dearness Allowance) রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রিভিউ পিটিশন দাখিল করেছিল রাজ্য। যদিও তা খারিজ হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: এতো পুরো মাস্টারক্লাস! মার্কিন মুলুকেও শুরু মোদি ম্যাজিক! ট্রাম্পকে যেভাবে সামলালেন…’শিক্ষণীয়’
এরই মাঝে তিনটি রাজ্য সরকারি কর্মচারী সংগঠন রাজ্যের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলার দায়ের করে। সেই মামলার মধ্যেই পাল্টা সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য। সেই ২০২২ সালের নভেম্বর থেকে সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলা চলছে। বর্তমানে ২০২৫ সাল। এর মধ্যে একাধিকবার সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলা আদালতে উঠলেও বারে বারে শুনানি পিছিয়ে গিয়েছে। এবার মার্চে শুনানি হয় কিনা সেটাই দেখার।