বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বাজেটে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের জন্য ৪% ডিএ (Dearness Allowance) বৃদ্ধি করেছে মমতা সরকার। যা নিয়ে সন্তুষ্ট নন অনেকেই। রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের (State Government Employees) দাবি মত মহার্ঘ ভাতা বাড়ানো হয়নি। ফলত তাদের ক্ষোভ আরও বেড়েছে। এরই মধ্যে সুপ্রিম কোর্টে যে বকেয়া ডিএ মামলা চলছে, তা নিয়ে শীর্ষ আদালতের রেজিস্ট্রারের কাছে ইমেল পাঠানো হল। এমনই জানালেন কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায়।
সুপ্রিম কোর্টে বিরাট পদক্ষেপ রাজ্য সরকারি কর্মীদের-Dearness Allowance
মলয় মুখোপাধ্যায় বলেছেন, ‘ডিএ (DA) মামলা দ্রুত শোনার জন্য সর্বোচ্চ আদালতের রেজিস্ট্রারের কাছে মেল করা হয়েছে।’ মেইলএ ‘অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড’ শেখর কুমার জানিয়েছেন, ডিএ মামলার পরবর্তী শুনানির সম্ভাব্য দিন হিসেবে সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে ২৫ মার্চ (২০২৫ সাল) দেখানো হচ্ছে। যাতে সেদিন মামলাটি শোনা হয় সেই আর্জি জানানো হয়েছে।
এতদিন ডিএ মামলা চলছিল জাস্টিস ঋষিকেশ রায় এবং জাস্টিস এস ভাট্টির ডিভিশন বেঞ্চে। এর মধ্যে বিচারপতি হৃষিকেশ রায় অবসরগ্রহণ করায় সুপ্রিম কোর্টের নয়া বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হওয়ার কথা। সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) যে মামলা চলেছে তা পঞ্চম বেতন কমিশনের আওতায় পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ মামলা। আর বর্তমানে ষষ্ঠ পে কমিশনের আওতায় ডিএ পাচ্ছেন বাংলার সরকারি কর্মীরা।
বর্তমানে ষষ্ঠ পে কমিশনের আওতায় ১৪ শতাংশ হারে মহার্ঘ ভাতা পাচ্ছেন এ রাজ্যের সরকারি কর্মীরা। গতকালই বাজেটে আরও চার শতাংশ ডিএ-র ঘোষণা করেছে সরকার। অর্থাৎ ১৪+৪= ১৮ শতাংশ। এই বর্ধিত ডিএ কার্যকর হবে আগামী পয়লা এপ্রিল থেকে। এদিকে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা ৫৩% হারে ডিএ পাচ্ছেন। অর্থাৎ কেন্দ্র-রাজ্য ব্যাবধান সামান্য কমে হল ৩৫ শতাংশ।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২০ মে এই ডিএ মামলা হাইকোর্টে উঠলে আদালতের নির্দেশ ছিল, তিন মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দিতে হবে। তবে সেবার জয় পেয়েও মেলেনি বকেয়া। উচ্চ আদালতের ডিএ (Dearness Allowance) রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রিভিউ পিটিশন দাখিল করেছিল রাজ্য। যদিও তা খারিজ হয়ে যায়।
আরও পড়ুন: ৩ সপ্তাহ সময়! এবার পর্ষদকে ‘ডেডলাইন’ বেঁধে দিল কলকাতা হাইকোর্ট! কড়া নির্দেশ বিচারপতির
এরই মাঝে তিনটি রাজ্য সরকারি কর্মচারী সংগঠন রাজ্যের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলার দায়ের করে। সেই মামলার মধ্যেই পাল্টা সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য। সেই ২০২২ সালের নভেম্বর থেকে সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলা চলছে। বর্তমানে ২০২৫ সাল। এর মধ্যে একাধিকবার সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলা আদালতে উঠলেও বারে বারে শুনানি পিছিয়ে গিয়েছে।