বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সম্প্রতি পশ্চিমবঙ্গের নানান জেলের (Jail) ভেতর বাংলাদেশি জঙ্গিদের বিভিন্ন কার্যকলাপ ধরা পড়েছে। এই বিষয় প্রকাশ্যে আসার পর রাজ্যের কারা এবং স্বরাষ্ট্র দফতরের (Ministry of Home Affairs) শীর্ষ আধিকারিকদের মধ্যে বেশ কিছু বৈঠক হয়। তারপরেই জানা যাচ্ছে নয়া খবর। জেলের বন্দিদের মোবাইল ফোনের ব্যবহার রুখতে এবার বিরাট উদ্যোগ নিচ্ছে কারা দফতর।
জেলের (Jail) বন্দিদের মোবাইল ব্যবহার আটকাতে বড় পদক্ষেপ!
রাজ্যের কারা এবং স্বরাষ্ট্র দফতরের বৈঠকগুলিতে বাংলার নানান জেলে বাংলাদেশি জঙ্গিদের কার্যকলাপ কীভাবে বন্ধ করা যায় তা নিয়ে আলোচনা হয়। কারা দফতর সূত্রে জানা যাচ্ছে, ওপার বাংলার (Bangladesh) বর্তমান পরিস্থিতি ও সেখানকার নানান জঙ্গি সংগঠনগুলির কার্যকলাপের বিষয়ে নির্দিষ্ট খোঁজখবর নেওয়ার পর রাজ্যের কাছে বেশ কিছু পরামর্শ পাঠায় অমিত শাহের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
সেখানেই নাকি বলা হয়, জেলের (Jail) মধ্যে মোবাইল ফোনের ব্যবহার রুখতে নয়া প্রযুক্তির জ্যামার বসাতে হবে। এরপরেই এই বিষয়ে উদ্যোগ নিয়েছে কারা দফতর। জানা যাচ্ছে, রাজ্যের নানান জেলে জ্যামার বসানোর তোরজোড় শুরু করা হয়েছে। বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গে প্রায় ৬০টি জেল বা সংশোধনাগার আছে। এসব জেলে কয়েক হাজার বন্দি রয়েছে। তাদের মধ্যে বাংলাদেশি জঙ্গিদেরও নামও রয়েছে।
আরও পড়ুনঃ সঞ্জয়ের সাজা ঘোষণার আগেই বড় খবর! ‘এই’ দাবিতে হাইকোর্টের দ্বারস্থ ঐক্য মঞ্চ! তোলপাড় বাংলা
জানা যাচ্ছে, খাগড়াগড় বিস্ফোরণ কাণ্ডের অন্যতম অভিযুক্ত সুমন ওরফে তারিকুল ইসলাম আনসারুল্লা বাংলা টিমের সদস্য নূর ইসলামের সঙ্গে ক্রমাগত যোগাযোগ রাখছিল। এই রকম প্রমাণ পেতেই কারা দফতরের আধিকারিকদের তরফ থেকে নবান্নে রাজ্য স্বরাষ্ট্র দফতরে জানানো হয়। এবার জানা গেল, কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র দফতরের তরফ থেকে নয়া প্রযুক্তির জ্যামার বসানোর পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
রিপোর্ট বলছে, এখন জেলের যে সকল জ্যামার আছে, সেগুলি টু-জি মোবাইল (Mobile Phone) নেটওয়ার্ক আটকানোর জন্য উপযোগী। তবে এখনকার দিনে ফোর-জি, ফাইভ-জি নেটওয়ার্ক ব্যবহৃত হয়। সেই কারণে এবার নতুন প্রযুক্তির জ্যামার লাগানোর তোরজোড় শুরু করেছে কারা দফতর। তবে এই নয়া প্রযুক্তি চালু হলে ওই জেল বা সংশোধনাগারের পাশাপাশি তার আশেপাশের অঞ্চলের মোবাইল পরিষেবা ব্যাহত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। সেই কারণে সংশ্লিষ্ট জেলের আধিকারিক ও তার সংলগ্ন এলাকার কিছু নম্বর যাতে ‘ছাড়’ পায় সেটার ব্যবস্থা আগে থেকেই করে রাখা হবে।
এই উদ্যোগ সম্বন্ধে কারা দফতরের একজন আধিকারিক বলেন, একসঙ্গে রাজ্যের ৬০টি জেলে (Jail) জ্যামার বসানো সম্ভব নয়। সেই কারণে প্রয়োজনভিত্তিকভাবে ধাপে ধাপে তা বসানো হবে। ইতিমধ্যেই রাজ্যের দু’টি জেলে নতুন প্রযুক্তির জ্যামার বসানোর জন্য টেন্ডার ডাকার প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। জেলের মধ্যে বন্দিদের মোবাইল ফোনের ব্যবহার রুখতে ‘টাওয়ার হারমোনিয়াস কল ব্লকিং সিস্টেম’ শুরু করা হচ্ছে। আপাতত প্রেসিডেন্সি জেল ও দমদম সেন্ট্রাল জেলে তা ‘পাইলট প্রোজেক্ট’ হিসেবে শুরু করা হচ্ছে বলে খবর।