বাংলা হান্ট ডেস্ক: বাঙালিদের বারো মাসে তেরো পার্বণ। উৎসবের শেষ নেই, সামনেই আসছে সরস্বতী পুজো। আর এবার পশ্চিমবাংলায় (West Bengal) গড়ে উঠতে চলেছে চোখ ধাঁধানো প্রতিমা। এমন সরস্বতী প্রতিমা আগে হয়েছে কিনা,কিংবা বাংলার মানুষ দেখেছি কিনা সে বিষয়ে সন্দেহ রয়েছে। এতদিন দুর্গাপুজো, কালীপুজোয় ১১২ ফুট, ১০০ ফুটের প্রতিমার কথা শুনে আসছেন। তবে এবার তেমনি প্রতিমা তৈরি করে নজির গড়তে চলেছে বাংলার এই জায়গা। এই প্রতিমা দেখলে মনে পড়ে যাবে দেশপ্রিয়র বৃহৎ দুর্গা প্রতিমার কথা।
বাংলায় (West Bengal) তৈরি হতে চলেছে ১১১ ফুটের সরস্বতী প্রতিমা:
গতবছর দুর্গাপুজোতে রানাঘাটের ১১২ ফুটের দুর্গা প্রতিমা তৈরি করা হয়। কিন্তু পরবর্তীতে সেই পুজো বন্ধ হয়ে যায়। আর এবার ২০২৫-র সরস্বতী পুজোতে ১১১ ফুটের ঠাকুর তৈরি করে গোটা বাংলাকে (West Bengal) তাক লাগাতে চলেছে বাটানগর। হাতে মাত্র আর কয়েক দিন তারপরেই বাঙালিদের অন্যতম উৎসব সরস্বতী পুজো। আর তাই বাঙালির এই উৎসবকে আরও রঙিন করে তুলতে বাটানগরের দুটি ক্লাব তৈরি করতে চলেছে ১১১ ফুটের প্রতিমা। জোর কদমে চলছে প্রস্তুতি।
আরোও পড়ুন : বদলে যাবে ভাগ্য! মাথায় রাখুন এইসব উপদেশ! বলে গিয়েছেন স্বয়ং চাণক্য
বাটানগরের কোথায় হচ্ছে এই পুজো:
জানা গিয়েছে, বাটানগরের নিউল্যান্ড মাঠে গড়ে উঠছে ১১১ ফুটের সরস্বতী। প্রায় প্রত্যেক বছরই বাটানগরে বসন্ত পঞ্চমীতে সরস্বতী দেবীর পুজো করা হয়ে থাকে। বিশেষ করে স্কোয়াড ফাউন্ডেশন এবং ক্রিয়েশন ফাউন্ডেশন নিত্য নতুন চমক এনে দর্শনার্থীদের মুগ্ধ করে। তবে এ বছর বড় পুজোর স্বার্থে প্রথমবার ক্লাব দুটি একসঙ্গে পুজো করছে। শিল্পী সোমনাথ তামলির হাতেই গড়ে উঠছে দেবী সরস্বতীর আদলে মণ্ডপ। সুনিপুণ এই কাজ যে কারোরই আকর্ষণ করতে বাধ্য।
আরোও পড়ুন : ওজনের চিন্তায় নাজেহাল? উচ্চতা অনুযায়ী কত হলে পারফেক্ট? চিন্তা দূর করতে জানুন আজই!
জানা যাচ্ছে শিল্পীর হাত দিয়ে যেমন অনবদ্য মণ্ডপ সজ্জা তৈরি করা হচ্ছে, সেই সাথে চমক থাকছে প্রতিমার সাজসজ্জাতেও। এতদিন দুর্গাপুজোয় এমন ধারার প্রতিমা গড়ে উঠতে দেখেছে বাংলার (West Bengal) মানুষ। কিন্তু এবার সরস্বতী পুজোয় প্রথমবার ক্লাবের এমন নতুন ভাবনা। ক্লাবের উদ্যোক্তারা আশা করছেন, এই পুজোয় দর্শনার্থীদের ঢল দেখার মত হতে পারে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে আইনি বাধায় এই পুজো আটকে যাবে না তো?
গত বছর দুর্গাপুজোতে রানাঘাটের ১১২ ফুটের পুজো বন্ধ হয়ে যায় শুধুমাত্র আইনি নিষেধাজ্ঞার কারণে। মূলত অতিরিক্ত উচ্চতার কারণে আইনি বাধায় আটকে যায় পুজো। তবে বাটানগরের এই পুজোতে প্রশাসনের তরফ থেকে সবুজ সংকেত পাওয়া গিয়েছে বলে জানা যায়। প্রশাসনের কাছ থেকে নির্দেশ পাওয়ার পরই পুজোর কাজ শুরু করেছে ক্লাব দুটি। অত্যন্ত নিরাপত্তার সাথে মন্ডপের প্রতিটি কোণা সাজিয়ে তোলা হচ্ছে। ফেব্রুয়ারির ১ তারিখ পুজোর উদ্বোধন হবে। আর পঞ্জিকা মেনে পুজো হবে আগামী ৩ ফেব্রুয়ারি। এখন শুধু সময়ের অপেক্ষা বাংলার (West Bengal) মানুষ এই পুজোতে কেমন ভিড় জমায়।