বাংলা হান্ট ডেস্কঃ উনিশের লোকসভা ভোটের ধাক্কা সামলে একুশের বিধানসভা নির্বাচনে (WB Assembly Elections) বাজিমাত করেছিল তৃণমূল (Trinamool Congress)। সবুজ ঝড়ের সামনে কার্যত খড়কুটোর মতো উড়ে গিয়েছিল বিজেপি (BJP)। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের অনেকের মতে, এর নেপথ্যে বড় ভূমিকা ছিল রাজনৈতিক পরামর্শদাতা সংস্থা আইপ্যাকের (I-PAC)। এবার সেদিকে নজর রেখেই বড় উপলব্ধি হল গেরুয়া শিবিরের। জানা যাচ্ছে, রাজ্যের শাসকদলের মতো বিরোধীরাও আলাদা করে রাজনৈতিক বিশ্লেষক সংস্থা নিয়োগ করবে। এই পদে নিযুক্তদের মোটা টাকা বেতন দেওয়া হবে বলে খবর।
ছাব্বিশের ভোটের আগেই বড় সিদ্ধান্ত বিজেপির (BJP)!
বছর ঘুরলেই রাজ্যে বিধানসভা ভোট। ইতিমধ্যেই এই নিয়ে ময়দানে নেমে পড়েছে তৃণমূল, বিজেপি। জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই আইপ্যাকের ভূমিকা নিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের অন্দরের টানাপড়েন মিটেছে। বর্তমান পরিস্থিতির দিকে নজর রেখে অনুমান, একুশের মতো ছাব্বিশের ভোটেও জোড়াফুল শিবিরের রণকৌশল তৈরিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে পারে এই সংস্থা।
বর্তমান অবস্থায় তৃণমূল স্তরের তথ্য জোগাড়ে পেশাদার সংস্থার নিয়োগ জরুরি। রাজ্যের শাসকদল এমনটা উপলব্ধি করেছে বলে খবর। সেই একই উপলব্ধি প্রধান বিরোধী দল বিজেপিরও হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। সেই কারণে তারাও এবার বাংলায় আলাদা করে রাজনৈতিক বিশ্লেষক সংস্থা নিয়োগ করতে চলেছে। জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই নিচুতলায় সংশ্লিষ্ট সংস্থার সঙ্গে কাজ করতে কর্মীদের কাছে বার্তা পাঠানো শুরু করেছে গেরুয়া শিবির।
আরও পড়ুনঃ উচ্চমাধ্যমিকের প্রশ্ন নিয়ে মারাত্মক কাজ! WBCHSE অভিযোগ জানাতেই গ্রেফতার দুই! কী অপরাধ জানেন?
রিপোর্ট বলছে, বঙ্গ বিজেপি (BJP) মনে করছে, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের সাফল্যের নেপথ্যে রাজনৈতিক পরামর্শদাতা সংস্থার অনেকটা ভূমিকা ছিল। সেই কারণে ছাব্বিশের ভোটের আগে তারাও রাজনৈতিক বিশ্লেষক সংস্থা নিয়োগের পথে হাঁটতে চলেছে।
জানা যাচ্ছে, সংশ্লিষ্ট সংস্থার কর্মীদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে মানুষের অসুবিধা শুনে সেই অনুযায়ী ডেটাবেস বানাতে হবে। কোন এলাকায় কী সমস্যা, কী ইস্যু রয়েছে তা জানতে হবে। কোথায় বিজেপি ও সংঘের আদর্শের প্রভাব কতখানি সবকিছু ওই ডেটাবেসে থাকবে। ওই কর্মীদের তৃণমূল স্তর থেকে তথ্য তুলে আনতে হবে। এছাড়া ভোটপ্রচার এবং আরএসএস ও বিজেপির (BJP) আদর্শ প্রচারেও তাঁদের ব্যবহার করা হবে বলে খবর।
এই পদের জন্য আবেদনকারীদের ক্ষেত্রে বেশ কিছু শর্ত রয়েছে। জানা যাচ্ছে, আবেদনকারী ব্যক্তিকে অবশ্যই হিন্দুত্ববাদী ভাবধারার হতে হবে। যারা বিজেপি, সংঘ কিংবা অন্য কোনও হিন্দুত্ববাদী সংগঠনের সঙ্গে জড়িত তাঁরা প্রাধান্য পাবেন। শিক্ষাগত যোগ্যতা হতে হবে স্নাতক, বয়সসীমা ৩৫ বছরের কম। এছাড়া আবেদনকারীর স্মার্টফোন ও কম্পিউটারের প্রাথমিক জ্ঞান থাকা দরকার। মাইক্রোসফট অফিস এবং এক্সেলের কাজ জানা হতে হবে। সেই সঙ্গেই আবেদনকারী ব্যক্তির অবশ্যই মোটরসাইকেল বা স্কুটি থাকতে হবে।
সূত্র উদ্ধৃত করে একটি সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, ওই রাজনৈতিক বিশ্লেষক বা সমীক্ষক সংস্থায় বাংলাভাষী কর্মীর সংখ্যা বেশি থাকুক চাইছে বিজেপি (BJP)। কারণ এতে যেমন একদিকে রাজ্যের মানুষের সমস্যা বুঝতে সুবিধা হবে, সেই সঙ্গেই ‘বহিরাগত’ তকমা সেঁটে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকবে না। সেই কারণে বাংলা থেকেই ওই কর্মীদের নিয়োগ করা হবে বলে খবর। পদ্ম শিবিরের দাবি, এর ফলে রাজ্যের বেকার সমস্যা খানিক মিটবে। এই পদে নিযুক্তদের প্রত্যেক মাসে ৩৫,০০০ টাকা বেতন দেওয়া হবে বলে খবর।