বাংলা হান্ট ডেস্কঃ মাধ্যমিক (Madhyamik) পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে এই মুহূর্তে রাজ্যজুড়ে প্রস্তুতি তুঙ্গে। হাতে আর একমাসও সময় নেই তাই জীবনের এই প্রথম বড় পরীক্ষায় বসার আগে এই মুহূর্তে চলছে পুরনো পড়া রিভিশন দেওয়ার পালা। তবে অন্যবারের তুলনামায় এবার মাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে ব্যাপক কড়া পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। নিরাপত্তা জোরদার করার পাশাপাশি নেওয়া হচ্ছে বেশ কিছু কঠোর পদক্ষেপ।
মাধ্যমিক (Madhyamik) নিয়ে বড় নির্দেশ পর্ষদের
পরীক্ষা (Madhyamik) চলাকালীন মোবাইল ফোনসহ ধরা পড়লেই কড়া পদক্ষেপ নিতে চলেছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। এমনকি তিন বছর পর্যন্ত ওই পরীক্ষার্থীর পরীক্ষা দেওয়া বাতিল করে দেওয়ার ব্যাপারেও চিন্তাভাবনা করা হচ্ছে। পরীক্ষার্থীরা যাতে পরীক্ষার হলে মোবাইল নিয়ে না আসেন তার জন্য বারবার সচেতন করা হচ্ছে। অভিভাবকদেরও বলা হচ্ছে বারবার। তারপরেও যদি কেউ পরীক্ষার হলে ফোন আনেন এবং পরীক্ষা চলাকালীন ধরা পড়ে যান তাহলে পর্ষদ অন্যান্য বারের থেকে আরও বেশি কঠোর পদক্ষেপ নিতে চলেছে।
মধ্যশিক্ষা পর্ষদের সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় শুক্রবার এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, ‘পরীক্ষা (Madhyamik) হলে ঢোকার সময় সংশ্লিষ্ট কেন্দ্রের শিক্ষকরা পরীক্ষার্থীর কাছে মোবাইল আছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখবেন। তার পরেও যদি কোন ভাবে চোখ এড়িয়ে মোবাইল নিয়ে কেউ ঢুকে পড়ে তাহলে সেই ফোন জমা দেওয়ার জন্য শেষবারের মতো সুযোগ দেওয়া হবে। যিনি গার্ড দিচ্ছেন তিনি পরীক্ষা শুরুর আগে শেষবারের মতো সতর্ক করে দেবেন।’
আরও পড়ুন: সব প্রমাণ হয়ে গেল! RG Kar কাণ্ডের রায় ঘোষণার পরই মুখ খুললেন কুণাল
পর্ষদ সভাপতি এদিন জানিয়েছেন, ‘এত কিছুর পরেও যদি ফোন জমা না দেয় এবং পরীক্ষা চলাকালীন ফোনসহ ধরা পড়ে যায় তাহলে ওই পরীক্ষার্থীর সমস্ত পরীক্ষা বাতিল করে দেওয়া হবে। এমনকি ফোনও ফেরত দেওয়া হবে না।’ এছাড়াও পর্ষদ কর্তারা জানিয়েছেন গতবার পরীক্ষা চলাকালীন যে সমস্ত পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে মোবাইল পাওয়া গিয়েছিল তাদের ফোনের কল লিস্ট পরীক্ষা করে দেখা যায় ঐ সমস্ত পরীক্ষার্থীর বাড়ির লোক পরীক্ষা চলাকালীন ফোন করে জানতে চেয়েছেন তারা পরীক্ষা হলে ঠিকমতো পৌঁছেছেন কিনা?
পর্ষদ সভাপতি রামানুজ গঙ্গোপাধ্যায় একইসাথে অভিভাবকদেরই এক হাত দিয়ে বলেছেন, ‘বহু অভিভাবকের সচেতনতার এতটাই অভাব! মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীরা বয়সে ছোট জীবনের প্রথম বড় পরীক্ষা দিতে আসছে তারা। তাই তাদের সচেতন করার দায়িত্ব অভিভাবকদেরও।’ মাধ্যমিক পরীক্ষার কড়াকড়ি নিয়ে পর্ষদ সভাপতি জানিয়েছেন প্রত্যেক পরীক্ষা কেন্দ্রে তিনটি জায়গায় সিসিটিভি বসানো বাধ্যতামূলক। যার মধ্যে অন্যতম পরীক্ষা কেন্দ্রের গেটের মুখ, বারান্দায় এবং সুপারভাইজারের অফিসে। প্রত্যেকটি পরীক্ষা কেন্দ্রে সিসিটিভি ফুটেজ অন্তত ৬ মাস রেখে দিতে হবে। পরীক্ষার্থীরা শৌচাগারে বা পরীক্ষা কেন্দ্রের অন্য কোথাও ফোন রেখেছে কিনা তা দেখার জন্য প্রত্যেক কেন্দ্রের শিক্ষকদের বারবার নজরদারি করতে বলা হয়েছে।