আজকের পেশ হওয়া বাজেট প্রস্তাব থেকেই আগামী এক বছরের উন্নয়নের অভিমুখ ঠিক করবেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র ।এইদিন তিনি বক্তব্যের শুরুতেই দেশের অর্থনৈতিক দুরবস্থার প্রসঙ্গ তুলে অনেক কথাই বলেন। তিনি বলেন, ‘আজ গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধ করা হচ্ছে, ভারতের অর্থনীতি আজ বিপন্ন।
পাশাপাশি এনআরসি নিয়েও তিনি বলেন এই এনারসি করার ফলে দেশের মধ্যে বিভাজন করার একটা চেস্টা চালানো হচ্ছে । আর পাশাপাশি তিনি জিডিপি নিয়েও নানান কথা বলেন। সেখানে বিগত কয়েক বছরে দেশের হাল অনেকটাই খারাপ । আর সেই খারাপ দিক তুলে ধরে তিনি বলেন দেশের সাধারন মানুষের কথা তো ভাবাই হচ্ছে না । বিরোধীরা জানিয়েছেন এরাজ্যে বিদ্যুতের বিল দেশের অনেক রাজ্যের তুলনায় অনেকটা বেশি। এখানেই শেষ নয় রাজ্যে বিদ্যুতের বিল এবং পরিষেবা নিয়ে সাধারণ মানুষের মধ্যে অভিযোগের শেষ নেই।
রাস্তায় নেমেও আন্দোলন করেছে বিজেপি আর সাথে পরিবেশ অশান্ত হয়ে দুই তরফে বিবাদ তুমুল হয়ে ওঠে। ইতিমধ্যেই দিল্লি সরকার রাজ্যে বিনামূল্যে বিদ্যুৎ দিয়েছে। আর এবার রাজ্যের সাধারন মানুষকে ঝাড়খণ্ড সরকার রাজ্যে বিনামূল্যে বিদ্যুত সরবরাহ করতে চায়। য়ার এর মধ্যে সরকার বিনামূল্যে বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য প্রস্তুতিও শুরু করেছে। এর পাশাপাশিও সরকারের একশো ইউনিট বিনা মূল্যে বিদ্যুৎ সরবরাহের প্রস্তাব রয়েছে। মুখ্যমন্ত্রী সচিবালয়ের মতে, ৩০০ ইউনিট বিদ্যুৎ ব্যবহারের ক্ষেত্রে ১০০ ইউনিট বিদ্যুৎ বিনামূল্যে পাওয়া যাবে। ৩০০ ইউনিটের উপরে ব্যবহারের জন্য, পুরো ইউনিট বিলটি প্রদান করতে হবে, যার ভিত্তিতে বিনামূল্যে বিদ্যুতের বিধান প্রযোজ্য হবে না।
রাজ্যের বিদ্যুৎ গ্রাহকদের জন্য সরকার ৩০০০ কোটি টাকার বিধান করবে বলেও জানিয়েছে। ঈইদিন অমিত মিত্র এই প্রসঙ্গে বলেন “এই প্রকল্প গ্রামীণ বা শহরাঞ্চলে অত্যন্ত গরিব যাঁরা তিন মাসে ৭৫ ইউনিট পর্যন্ত বিদ্যুৎ ব্যবহার করেন, তাঁদের সম্পূর্ণ বিনামূল্যে বিদ্যুৎ সরবরাহ করা হবে”। এই প্রকল্পের ফলে অন্তত ৩৫ লক্ষ মানুষ উপকৃত হবেন বলে জানিয়েছেন তিনি । আবার এর জন্য রাজ্য সরকার ২০০ কোটি টাকা আর্থিক বরাদ্দ ঘোষণা করেছে।