বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আগামী বছর রাজ্যে বিধানসভা নির্বাচন। তার আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ৩.০ সরকারের (Government of West Bengal) শেষ পূর্ণাঙ্গ বাজেট। স্বাভাবিকভাবেই সকাল থেকে সকলের নজর ছিল সেদিকে। এদিন বিকেলে (West Bengal Budget 2025) বাজেট পেশ করতে শুরু করেন রাজ্যের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত অর্থ প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। সেখানেই নতুন প্রকল্পের (Government Scheme) কথা ঘোষণা করেন তিনি।
রাজ্যের (Government of West Bengal) এই নতুন প্রকল্পের সুবিধা কারা পাবেন?
ছাত্রছাত্রী থেকে মহিলা, পশ্চিমবঙ্গের প্রায় সকল মানুষের জন্যই কোনও না কোনও প্রকল্প চালু করেছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার, কন্যাশ্রী থেকে শুরু করে সবুজ সাথী, তরুণের স্বপ্ন, সেই তালিকায় নাম রয়েছে একাধিক স্কিমের। এবার সেই তালিকাতেই জুড়ল আরেকটি নতুন স্কিমের নাম। নদীকেন্দ্রিক অঞ্চলে ‘নদীবন্ধন’ নামের একটি নয়া প্রকল্পের কথা আজ ঘোষণা করা হল।
নদীকেন্দ্রিক অঞ্চলে নদীর ভাঙনের সমস্যার কথা অনেকেই জানেন। রাজ্য সরকারেরও (Government of West Bengal) কড়া নজর রয়েছে সেদিকে। এবার সেই ভাঙন রোধেই ‘নদীবন্ধন’ প্রকল্পের মাধ্যমে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। রাজ্যে বাজেটে এই নয়া স্কিমে ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
আরও পড়ুনঃ State Budget: বাজেটে বড় চমক! ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান নিয়ে বিরাট ঘোষণা! কত কোটি বরাদ্দ করল রাজ্য?
এবারের বাজেটে ঘাটাল মাস্টার প্ল্যান, পথশ্রী প্রকল্প নিয়েও সুখবর দিয়েছে রাজ্য। ঘাটাল মাস্টার প্ল্যানে ৫০০ কোটি টাকা এবং পথশ্রী প্রকল্পে গ্রামীণ রাস্তার জন্য ১৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। এছাড়া আগামী অর্থবর্ষে বাংলার বাড়ি স্কিমে আরও ১৬ লক্ষ বাড়ি তৈরি করা হবে বলে ঘোষণা করা হয়েছে। সেই কারণে বাজেটে ৯৬০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করা হয়েছে।
একইসঙ্গে সুখবর পেয়েছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা। ৪% হারে তাঁদের মহার্ঘ ভাতা বৃদ্ধি করেছে সরকার। অনেকে অনুমান করেছিলেন, লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্পেও হয়তো ভাতা বাড়ানো হবে। তবে সেই বিষয়ে কোনও সুখবর মেলেনি। এই প্রকল্পে বরাদ্দ আপাতত অপরিবর্তিতই থাকছে।
রাজ্যের অর্থ প্রতিমন্ত্রী (স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত) চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য এদিন জানান, উত্তরবঙ্গ উন্নয়নের জন্য ৪৬৬.২৬ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হচ্ছে। এছাড়া নদী ভাঙন আটকাতে ২০০ কোটি, পশ্চিমাঞ্চল উন্নয়নের জন্য ৭৫৬.৮ কোটি এবং পথশ্রী প্রকল্পের জন্য ১৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ করছে রাজ্য। সেই সঙ্গেই অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী এবং আশাকর্মীদের মোবাইল দেওয়ার জন্য বরাদ্দের ঘোষণা করা হয়েছে। ৭০,০০০ আশাকর্মীকে স্মার্টফোন দেওয়া হবে।