চার কেন্দ্রের উপনির্বাচনেই সবুজ সুনামি! মতুয়া গড়েও গো হারা হারল BJP

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ লোকসভার পর বঙ্গে বিধানসভা (Bidhansabdha) উপনির্বাচনেও (West Bengal By Election) সবুজ ঝড়। রায়গঞ্জে রেকর্ড সংখ্যক ভোটে জয়ী ঘাসফুল শিবিরের (Trinamool Congress) প্রার্থী কৃষ্ণ কল্যাণী। বিজেপি প্রার্থী মানসকুমার ঘোষ ও কংগ্রেসের মানসকুমার ঘোষকে পরাজিত করে রায়গঞ্জ বিধানসভায় ৪৯ হাজার ৫৩৬ ভোটে জয় পেয়েছেন তিনি।

আরও শক্তি বাড়াল ঘাসফুল (West Bengal By Poll Results)

গত বিধানসভা নির্বাচনে এই কেন্দ্র থেকেই বিজেপির (BJP) ভোটে জয়ী হয়েছিলেন কৃষ্ণ কল্যাণী। যদিও কিছুমাস পরই গেরুয়া শিবির ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন তিনি। এরপর লোকসভা ভোটে কৃষ্ণ কল্যাণীর ওপরই ভরসা রেখেছিল তৃণমূল। তবে বিজেপি কার্তিক পালের কাছে হারতে হয়েছিল তাকে। আর এই উপনির্বাচন খুলে দিল কপাল।

   

মাত্র একমাস আগে হওয়া লোকসভা নির্বাচনে প্রায় ৪৭ হাজার ভোটে হেরেছিলেন কৃষ্ণ কল্যাণী। আর উপনির্বাচনেই দেখিয়ে দিলেন খেলা। যদিও লোকসভা নির্বাচনে রায়গঞ্জ শহরের ভোটে লিড পেয়েছিলেন তৃণমূল প্রার্থী। এদিন রেকর্ড জয়ের পর কৃষ্ণ কল্যাণী বলেন, ‘এই জয় আমাদের নেত্রীর মমতা ব্যানার্জির জয়।’

তিনি বলেন, ‘রাজ্য সরকারের ৭৪টা প্রকল্পের সুবিধা পেয়েছেন সাধারণ মানুষ। এই বিপুল মার্জিনে জয় তারই ফল। এত মানুষ আমাকে জিতিয়েছেন। আমি একই রকম ভাবে কাজ করে যাব। ভোটের ফলই বলে দিয়েছে মানুষ আর বিজেপিকে চায় না’।

এদিন রায়গঞ্জ, মানিকতলা, বাগদা, রানাঘাট দক্ষিণ, এই চার বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের ফলপ্রকাশ ছিল। তাতে ঝড় বললে ভুল, রীতিমতো সবুজ সুনামি। দেখা যাচ্ছে গতবার বিজেপি-র জেতা তিনটি আসনই এবার তৃণমূলের ঝুলিতে। পাশাপাশি তৃণমূলের মানিকতলাতেও জয়ের পথের তৃণমূল।

tmc and bjp flags

আরও পড়ুন: সক্রিয় মৌসুমী অক্ষরেখা! দু’ঘন্টায় বজ্রপাত সহ স্বস্তির বৃষ্টি দক্ষিণবঙ্গের এই তিন জেলায়

বিজেপির শক্ত ঘাঁটি মতুয়া গড় বাগদাতেও তৃণমূলের কাছে পরাজিত বিজেপি। তৃণমূল প্রার্থী মধুপর্ণা ঠাকুর ৩০ হাজারের বেশি ভোটে জয়ী হয়েছেন। লোকসভায় হারার পর রানাঘাট দক্ষিণে বিধানসভা উপনির্বাচনে ৩৫ হাজারের বেশি ভোটে জয়ী হলেন তৃণমূলের মুকুটমণি অধিকারী। ওদিকে মানিকতলায় জয়ের মুখে রাজ্যের প্রয়াত সাধন পাণ্ডের স্ত্রী, সুপ্তি পাণ্ডে। অপেক্ষা শুধু ফল ঘোষণার।

Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর