বাংলা হান্ট ডেস্কঃ লাঞ্চ টু ডিনার, মুরগির মাংস সবেতেই হিট। এমন অনেক বাড়ি আছে যেখানে রোববার চিকেনের ঝোল মাস্ট! তবে এবার তাঁদের জন্যই চিন্তার খবর! আজ থেকে বাংলায় (West Bengal) নাও পাওয়া যেতে পারে মুরগির মাংস। ভাগ্য করে যদি পাওয়াও যায় তার জন্য গুনতে হতে পারে অধিক টাকা!
বাংলায় (West Bengal) পাওয়া যাবে না চিকেন?
এমনিতেই হু হু করে বাড়ছে সবজির দাম। বাজারে গেলেই পকেটেটা যেন ছ্যাঁৎ করে উঠছে। তার মধ্যে এবার মুরগির মাংস নিয়ে সামনে এল চিন্তার খবর। বৃহস্পতিবার থেকে অনির্দিষ্টকালের জন্য মুরগি পরিবহণ বন্ধ করা হয়েছে। যে কারণে মাংস কিনতে গিয়ে কালঘাম ছুটে যেতে পারে বাংলার (West Bengal) মানুষের। অধিক দাম দিয়েও মাংস পাওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে সন্দিহান অনেকে।
১১ জুলাই রাতের একটি ঘটনার প্রতিবাদ স্বরূপ ওয়েস্ট বেঙ্গল পোল্ট্রি ট্রেডার্স অ্যাসোসিয়েশনের তরফ থেকে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। সেদিন মধ্যরাতে একটি মুরগির (Chicken) গাড়ি নিয়ে যাচ্ছিলেন শালবনী নিবাসী সমীর ঘোষ। অভিযোগ, পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলদা থানা এলাকায় পুলিশের হাতে আক্রান্ত হন তিনি।
আরও পড়ুনঃ তৃণমূলের নেতৃত্বে ‘দাদাগিরি’? জুনপুটে ক্ষেপনাস্ত্র উৎক্ষেপণের কাজ বন্ধ করল DRDO, তুঙ্গে শোরগোল!
চালকের কাছ থেকে কর্তব্যরত পুলিশ আধিকারিক ‘তোলা’ চাইছিলেন বলে অভিযোগ। কিন্তু সেই চালকের কাছে অত টাকা না থাকায় নিজের সাধ্য মতো টাকা দিতে চান। কিন্তু অভিযোগ, তাতেই রেগে গিয়ে সমীরবাবুর মাথায় টর্চ দিয়ে আঘাত করেন ওই পুলিশ আধিকারিক। এরপর তাঁকে উদ্ধার করে বেলদা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর সেখান থেকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় মেদিনীপুর সদর হাসপাতালে অ্যাডমিট করা হয়। গত বৃহস্পতিবার রাতের এই ঘটনার প্রেক্ষিতে অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার পুলিশ সুপার এবং নবান্নে মেল করেন। তবে কোনও জবাব আসেনি বলে দাবি সংগঠনের। এবার প্রতিবেদনের পথে হাঁটলেন তাঁরা।
এই বিষয়ে অ্যাসোসিয়েশনের একজন কর্তা বলেন, ‘পুলিশ একটি মুরগি বোঝাই গাড়ি আটক করেছিল। বৈধ নথি থাকলেও পুলিশ ওই গাড়ি আটকে রাখে। চালকের থেকে টাকা চাওয়া হয়, হেনস্থা করা হয়। পুলিশের তরফ থেকে যে টাকা চাওয়া হচ্ছিল সেটা চালকের কাছে না থাকায় উনি দিতে অস্বীকার করেন। নিজের সাধ্য মতো ৫০ টাকা দিতে চেয়েছিলেন ওই চালক। সেই জন্য কর্তব্যরত ওই পুলিশ আধিকারিক টর্চ দিয়ে চালকের মাথায় আঘাত করেন। গালিগালাজ করা হয় তাঁকে’।