বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রবিবার রাতে ‘তাণ্ডব’ করেছে রেমাল। এই ঘূর্ণিঝড়ের কারণে এখনও অবধি বাংলায় ৬ জনের প্রাণহানি হয়েছে। সোমবার সকাল থেকে দক্ষিণবঙ্গের নানান জেলায় লাগাতার বৃষ্টি হচ্ছে। এই আবহে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। সেই সঙ্গেই অবিলম্বে আর্থিক সহায়তা পৌঁছে দেওয়ার কথাও বলেন তিনি।
গতকাল রাতে পশ্চিমবঙ্গের সাগরদ্বীপ এবং বাংলাদেশের খেপুপাড়ার মাঝামাঝি অংশে বাংলাদেশের মোংলার কাছ থেকে স্থলভাগে প্রবেশ করে রেমাল (Cyclone Remal)। প্রায় ঘণ্টা চারেক ধরে ‘ল্যান্ডফল’ চলেছিল। এর জেরে উপকূলবর্তী এলাকা ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। শহর কলকাতাতেও আঁচ এসে পড়ে।
পশ্চিমবঙ্গ নদীমাতৃক রাজ্য, বঙ্গোপসাগরের উপকূলে। প্রতিবছরই তাই আমাদের নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্মুখীন হতে হয়। এবারো সাইক্লোন ‘রেমালে’র প্রভাবে আমাদের রাজ্যে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হল ও হচ্ছে। কিন্তু সবার উপরে মানুষের জীবন। সৌভাগ্যক্রমে এবং অবশ্যই রাজ্য প্রশাসনের তৎপরতায় এবার…
— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) May 27, 2024
এই আবহে রেমাল দুর্যোগের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলির পাশে দাঁড়ানোর বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী (CM Mamata Banerjee)। সোমবার এক্স হ্যান্ডেলে মমতা লেখেন, ‘পশ্চিমবঙ্গ নদীমাতৃক রাজ্য, বঙ্গোপসাগরের উপকূলে। প্রতিবছরই তাই আমাদের নানা প্রাকৃতিক দুর্যোগের সম্মুখীন হতে হয়। এবারও সাইক্লোন ‘রেমালে’র প্রভাবে আমাদের রাজ্যে প্রচুর ক্ষয়ক্ষতি হল ও হচ্ছে। কিন্তু সবার উপরে মানুষের জীবন। সৌভাগ্যক্রমে এবং অবশ্যই রাজ্য প্রশাসনের তৎপরতায় এবার জীবনহানি তুলনামূলকভাবে অনেক কম’।
আরও পড়ুনঃ নবান্নের আবেদন মেনে নিল কেন্দ্র! মুখ্যসচিব পদে বিপি গোপালিকার মেয়াদ বৃদ্ধি, কতদিন বাড়ানো হল?
মমতা লেখেন, ‘নিহতদের পরিবারবর্গকে আমার আন্তরিক সমবেদনা জানাই, তাঁদের নিকটজনের হাতে অবিলম্বে আর্থিক সহায়তা পৌঁছাবে। ফসলের ও বাড়িঘরের যা ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে, তা ক্ষতিপূরণের বন্টন আইন মোতাবেন প্রশাসন এখনই দেখে নেবে এবং নির্বাচনের আচরণবিধি উঠে গেলে আমরা এই সব বিষয়ে আরও গুরুত্ব দিয়ে সবটা আলোচনা করব’।
একইসঙ্গে ভয় না পাওয়ার বার্তা দিয়ে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, ‘নির্বাচনী বন্দোবস্তের ব্যস্ততা সত্ত্বেও সর্বস্তরে আমাদের প্রশাসন দুর্যোগ মোকাবিলায় এবার প্রস্তুত ছিল। মুখ্যসচিব থেকে শুরু করে আমার রাজ্যের সম্পূর্ণ সচিবালয়, জেলা প্রশাসন থেকে ব্লক প্রশাসন- দুর্যোগের মোকাবিলায় সকলে সংহতভাবে সবসময় মানুষের পাশে রয়েছে, ভবিষ্যতেও থাকবে। দু’লক্ষ মানুষকে নিরাপদ জায়গায় ১৪০০ শিবিরে সরানোর কৃতিত্ব আমাদের পুরসভা- পঞ্চায়েতগুলিরও। এজন্য আমি রাজ্য ও স্থানীয় প্রশাসনের সকলকে আমার আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। আমি বিশ্বাস রাখি, সকলের সহযোগিতায় এই ঝড়ও আমরা কাটিয়ে উঠব। আমি জানি, এই দুর্যোগে আপনারা চিন্তিত। আমরাও চিন্তিত। কিন্তু ভয় পাবেন না, চিন্তা করবেন না। পরিস্থিতির মোকাবিলায় যা যা করণীয়, আমরা সবটাই করব’।