বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ২০১৯ সালে দিঘায় জগন্নাথ মন্দির তৈরির কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। ২০২২ সাল থেকে শুরু হয় মন্দির তৈরির কাজ। বুধবার নির্মীয়মাণ সেই মন্দির পরিদর্শনের পর একাধিক ঘোষণা করলেন তিনি। উদ্বোধনের দিনক্ষণ থেকে শুরু করে ট্রাস্টি বোর্ড, একাধিক বিষয়ে জানালেন মুখ্যমন্ত্রী।
মন্দিরের ট্রাস্টি বোর্ডে থাকবেন না মমতা (Mamata Banerjee)
মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, আগামী দিনে গোটা দেশের পর্যটক এবং ভক্তদের নজর কাড়বে দিঘার এই জগন্নাথ মন্দির (Digha Jagannath Temple)। পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের আদলে তৈরি এই মন্দির প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আগামী কয়েক হাজার বছর ধরে বাংলার সমুদ্রতীরে অন্যতম তীর্থধাম হবে এই জগন্নাথ মন্দির’। তবে এই মন্দিরের সঙ্গে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের তুলনা টানতে নারাজ মুখ্যমন্ত্রী।
মমতা (Mamata Banerjee) বলেন, ‘ওটা রাজাদের সময়কার। আর এটা সরকার করেছে। ভোগঘর, গেস্ট রুম, স্টোর রুম আলাদা রয়েছে। সেলফ হেল্প গ্রুপের মেয়েদের ব্যবসার জন্য ব্যবস্থা করে দেওয়া হবে’। তিনি জানান, আগামী অক্ষয় তৃতীয়ায় এই মন্দিরের উদ্বোধন হবে। দিঘার জগন্নাথ মন্দির থেকে এবার রথযাত্রা শুরু হবে বলে ঘোষণা করেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ দূর হবে বৈষম্য! বাংলার সরকারি কর্মী-অফিসারদের জন্য বড় খবর! বৃহস্পতিতেই …
মুখ্যমন্ত্রী বলেন, দিঘায় (Digha) এই জগন্নাথ মন্দির তৈরি করতে এখনও অবধি প্রায় ২৫০ কোটি টাকা খরচ হয়েছে। এবার থেকে এখানে রথযাত্রা শুরু হবে। তিনি জানান, এই মন্দির পরিচালনার জন্য একটি ট্রাস্ট বানানো হয়েছে। ট্রাস্টি বোর্ডে মোট ১৩ জন সদস্য থাকবেন।
মমতা বলেন, ‘মুখ্যসচিব ট্রাস্টির নেতৃত্বে থাকবেন। সদস্যদের মধ্যে পূর্ব মেদিনীপুরের জেলাশাসক, জেলার পুলিশ সুপার, ইসকন ও সনাতন ধর্মের প্রতিনিধি এবং দিঘার জগন্নাথ মন্দিরে যিনি পুজো করেন, তিনি থাকছেন। একজন এডিএম এই মন্দির সহ পর্যটন পরিচালনার দায়িত্বে থাকবেন’। ট্রাস্টি বোর্ডে তিনি নিজে থাকবেন না বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
চৈতন্যদ্বারে দিঘার জগন্নাথ ধামের মূল দরজা থাকবে। মমতা (Mamata Banerjee) জানান, ওই স্থানের নাম হবে ‘চৈতন্যদ্বার জগন্নাথ ধাম’। দিঘার এই জগন্নাথ মন্দিরে পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের মতো ধ্বজা তোলার ব্যবস্থা থাকবে বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এখানেও রোজ পতাকা তোলা হবে বলে জানান তিনি। মমতার কথায়, ‘এখানে এবার প্রথম রথযাত্রা হবে। আপনারা জানেন, রথযাত্রায় একটা সোনার ঝাড়ু থাকে। আমি ওটার জন্য নিজের ব্যক্তিগত অ্যাকাউন্ট থেকে ৫ লক্ষ টাকা দেব’।