বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর হাসপাতালে চিকিৎসক ধর্ষণ খুনের ঘটনার (RG Kar Case) পর রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমের (Narayan Swaroop Nigam) ভূমিকা নিয়ে একাধিকবার প্রশ্ন উঠেছিল। আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকরা কলকাতার তৎকালীন পুলিশ কমিশনার এবং রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিবের পদত্যাগের দাবিও জানিয়েছিলেন। সেই সময় নারায়ণস্বরূপ নিগমের বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি। তবে এবার তাঁর ভূমিকায় ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। মুখ্যসচিব মনোজ পন্থেরও ভর্ৎসনার মুখে পড়েছেন তিনি।
স্বাস্থ্যসচিবের ওপর হঠাৎ কেন রেগে গেলেন মমতা (Mamata Banerjee)?
আরজি কর কাণ্ডের আবহে জুনিয়র চিকিৎসকরা একাধিকবার স্বাস্থ্যসচিবের অপসারণের দাবি জানালেও তা শোনেননি মুখ্যমন্ত্রী। তবে এবার স্যালাইন কাণ্ডের পর তাঁর ভূমিকা নিয়ে ক্ষুব্ধ মমতা। সম্প্রতি মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে ‘বিষাক্ত’ স্যালাইনের জেরে অসুস্থ হয়ে পড়েন ৫ জন প্রসূতি। তাঁদের মধ্যে একজনের মৃত্যুও হয়েছে। জানা যাচ্ছে, এই ঘটনাতেই মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষোভের মুখে পড়েছেন স্বাস্থ্যসচিব।
সোমবার রাজ্যের মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের (Manoj Pant) সঙ্গে স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমের বৈঠক হয়। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সেই বৈঠকে উপস্থিত না থাকলেও তাঁর নির্দেশেই এই বৈঠক হয় বলে খবর। সূত্র উদ্ধৃত করে একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে, আজকের বৈঠকে মুখ্যসচিবের তীব্র ভর্ৎসনার মুখে পড়েন স্বাস্থ্যসচিব।
আরও পড়ুনঃ সরকারের এক সিদ্ধান্তের ফলে দুর্ভোগ! বিস্ফোরক অভিযোগ আলু ব্যবসায়ীদের
শুধু তাই নয়, স্বাস্থ্যসচিবের ভূমিকায় নাকি ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী নিজে। কেন এই ধরণের ঘটনা ঘটল তার উত্তর চেয়েছেন মমতা (Mamata Banerjee)। উল্লেখ্য, সম্প্রতি মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে একই দিনে সিজার হওয়া ৫ জন প্রসূতি অসুস্থ হয়ে পড়েন। শুক্রবার তাঁদের মধ্যে একজন, মামনি রুইদাসের মৃত্যু হয়। একজনের অবস্থা স্থিতিশীল হওয়ায় তাঁকে জেনারেল শয্যায় দেওয়া হয়েছে। তবে বাকি ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।
রবিবার সেই ৩ প্রসূতিতে গ্রিন করিডর করে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়েছে। অন্যদিকে এই স্যালাইন কাণ্ডের জল গড়িয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট অবধি। জোড়া জনস্বার্থ মামলা দায়ের করার অনুমতি দিয়েছে প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানম ও বিচারপতি হিরণ্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ। এবার জানা গেল, এই ঘটনায় রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিবের ভূমিকায় ক্ষুব্ধ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। এই ঘটনা কেন ঘটল তার উত্তর চেয়েছেন তিনি।