বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বহুদিন ধরেই রাজ্যের সরকারি স্কুলগুলির হাল বেহাল। বছরের পর বছর ধরে বন্ধ নিয়োগ প্রক্রিয়া। গোটা পশ্চিমবঙ্গ জুড়ে শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষকের অভাবে (Headmaster Recruitment) তৈরি হয়েছে হাজার হাজার শূন্য পদ। রিপোর্ট বলছে রাজ্যজুড়ে বর্তমানে প্রায় ৫০ শতাংশেরও বেশি স্কুলে শূন্য পড়ে রয়েছে প্রধান শিক্ষকের আসন। দাবি করা হচ্ছে নিয়োগ প্রক্রিয়ার সমস্ত বিধি শেষ হয়েছে অনেক আগেই। কিন্তু তারপরেও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অনুমোদনের অপেক্ষায় রয়েছে রাজ্যের শিক্ষা দপ্তর।
প্রধান শিক্ষকের নিয়োগ (Headmaster Recruitment) হবে কবে?
বুধবারই শেষ হয়েছে রাজ্যের শীতকালীন অধিবেশন। সেখানেও সরকারের তরফে সংশোধিত বিল পেশ করা হয়নি। দিনের পর দিন কোন মতে রাজ্যের শাসকদলের শিক্ষকদের টিচার ইনচার্জ হিসেবে বসিয়ে কোনমতে চলছে রজ্যের সরকারি এবং সরকার পোষিত স্কুলগুলি। স্কুল শিক্ষা দপ্তর সূত্রে খবর বর্তমানে রাজ্যে মোট পাঁচ হাজারের বেশি শূন্য পদ তৈরি হয়েছে। যা ছয় মাস আগেও ছিল চার হাজারের বেশি। আর ২০১৯ সালে যেবার শেষ শিক্ষক নিয়োগ (Headmaster Recruitment) হয়েছিল সেবার প্রধান শিক্ষকের শূন্য আসন সংখ্যা ছিল প্রায় আড়াই হাজার।
২০২৩ সালে স্কুল সার্ভিস কমিশন স্বচ্ছ নিয়োগের জন্য বিধি তৈরি করে স্কুল শিক্ষা দপ্তরের কাছে পাঠিয়ে দিয়েছিল। সেখানে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তন আনার কথাও উল্লেখ করা হয়। জানা যাচ্ছে এই প্রধান শিক্ষক নিয়োগের (Headmaster Recruitment) ক্ষেত্রেও পরীক্ষা হবে ওএমআর শীটের মাধ্যমে। তার জন্য প্রত্যেক পদপ্রার্থীকে ওএমআর শীটের ডুপ্লিকেট কপিও দেওয়া হবে। তাছাড়া নিয়োগের ক্ষেত্রে সংরক্ষণের কথা উল্লেখ করা হয় কমিশনের তরফে।
আরও পড়ুন: মাদক খাইয়ে কলকাতার তরুণীকে ধর্ষণ, খুনের চেষ্টা! অভিযোগ সামনে আসতেই বেপাত্তা এই গুণধর চিকিৎসক
বিকাশ ভবন সূত্রে খবর, সেপ্টেম্বর মাসেই ক্যাবিনেটের অনুমতির জন্য প্রধান শিক্ষক নিয়োগের ফাইল সংশোধন করে পাঠানো হয়েছে। তারপর মাঝে কয়েক মাস কেটে গেলেও এখনও পর্যন্ত তার কোনো অনুমোদন পাননি। তবে জানা যাচ্ছে এক্ষেত্রেও কয়েকটি ধাপ রয়েছে। নবান্নের তরফে সবুজ সংকেত মিললে, তা যাবে রাজ্যপালের কাছে। তার পর তা বিধানসভায় পেশ করতে হবে। এই ভাবেই সম্পন্ন হবে গোটা প্রক্রিয়া।
এপ্রসঙ্গে বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল খানিক বিরক্তি প্রকাশ করেই জানিয়েছেন, ‘প্রধানশিক্ষক নিয়োগের ক্ষেত্রে কোনও আইনি জটিলতা নেই। কিন্তু সরকার ইচ্ছে করেই নিয়োগের ব্যাপারে কোনো উৎসাহ দেখাচ্ছে না। রাজ্যের প্রায় পাঁচ হাজার স্কুলে প্রধানশিক্ষক নেই। সেখানে শাসকদলের শিক্ষকদের টিআইসি হিসাবে বসিয়ে চালানো হচ্ছে। শুনেছি, নবান্নের জন্য এই নিয়োগ আটকে রয়েছে।’ সেইসাথে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর ভূমিকা নিয়েও উদ্বেগ প্রকাশ করেন তিনি।