বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যে ক্ষমতায় আসার পর থেকেই পড়ুয়াদের জন্য নানা প্রকল্প চালু করেছে মমতা সরকার। কন্যাশ্রী, রূপশ্রী সহ বহু স্কলারশিপও রয়েছে সেই তালিকায়। তেমনি বেশ কয়েক বছর আগেই স্কুল পড়ুয়াদের ড্রেস (West Bengal School Uniform) দেওয়ার প্রকল্প শুরু করেছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার (Government of West Bengal)। এবার সেই প্রকল্প নিয়েই জারি হল নির্দেশিকা। স্কুলগুলিতে ছাত্রভিত্তিক পোশাকের চাহিদার হিসাব চাইল শিক্ষা দফতর (West Bengal Education Department)। ৩০ অক্টোবরের মধ্যে প্রধান শিক্ষকদের (Teachers) কাছে হিসেব চাওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি শিক্ষা দফতর তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। সেখানেই জানানো হয়েছে, আগামী ৩০ অক্টোবরের মধ্যে স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে এর জন্য বরাত দিতে হবে। এরপর সেই মতো তার পোশাক তৈরি করে স্কুলগুলিকে সরবরাহ করবে। শিক্ষা দফতর সূত্রে যান গিয়েছে, এর আগে শিক্ষাবর্ষের শুরুতে স্কুলের পোশাক সংক্রান্ত ওয়ার্কঅর্ডারের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী স্বনির্ভর গোষ্ঠী স্কুলগুলিকে পোশাক সরবরাহ করেছে। তবে তার পরে যে সব স্কুলে পড়ুয়ার সংখ্যা বেড়েছে, বা যেসব স্কুল প্রথম বার ওয়ার্ক অর্ডার দেয়নি সেই সব পড়ুয়াদের পোশাক সরবরাহের জন্য নতুন করে নির্দেশিকা জারি হয়েছে
ডেডলাইনের মধ্যে ওয়ার্ক অর্ডার তৈরি করে স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে দিতে বলেছে শিক্ষা দফতর। তবে অতীতে বহুবার এই স্কুলের পোশাক নিয়ে নানা অভিযোগ সামনে এসেছে। পড়ুয়া এবং অভিভাবকদের মধ্যেই এই নিয়ে অভিযোগ জমে আছে বলে মত প্রধান শিক্ষকদের একাংশের। মূলত পোশাকের মান নিয়ে অভিযোগ রয়েছে বলে শোনা যায়। এখনও পর্যন্ত পড়ুয়া এবং অভিভাবকদের সেই সব অভিযোগেরও সুরাহা হয়নি।
এই বিষয়ে প্রধান শিক্ষক-শিক্ষিকাদের সংগঠন ‘অ্যাডভান্সড সোসাইটি ফর হেডমাস্টার্সঅ্যান্ড হেডমিস্ট্রেসেস’-এর রাজ্য সম্পাদক চন্দন মাইতি বলেন, ‘ স্বনির্ভর গোষ্ঠী যে পোশাক সরবরাহ করেছে, তার মান নিয়ে অনেক স্কুলেই সমস্যা হয়েছে। কিছু কিছু জিনিসেয়ে মান এতই খারাপ যে অভিভাবকেরা তা নিতে চাননি। অষ্টম শ্রেণির পড়ুয়াদের হাফ প্যান্ট দেওয়া হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘কাপড়ের মানের পাশাপাশি ভুলভাল জিনিসও দেওয়া হয়। কারও কারও কাছে দু’টি সেট পোশাকের বদলে একটি করে সেট যাচ্ছে। আবার ছাত্রীরা দুই সেট সালোয়ার কামিজ পেলেও দেখা যাচ্ছে ওড়না একটাই মিলছে। এছাড়া মাপেও ভুল তো হচ্ছেই। এই নিয়েই পড়ুয়া আর অভিভাবকেরা সমস্যা করছেন। অনেক সময় স্কুলে বিক্ষোভও দেখিয়েছেন অভিভাবকেরা। এই ভুলভ্রান্তির জেরে এর ফলে অনেক স্কুলের প্রধান শিক্ষক পোশাকের ওয়ার্ক অর্ডার দিতে আগ্রহ হারাচ্ছেন।’
আরও পড়ুন: বদলে যাচ্ছে বিচারপতি! এরপর কে শুনবেন আর জি কর মামলা? জেনে নিন
যদিও প্রধান শিক্ষকদের দাবি মামতে নারাজ শিক্ষা দফতরের কর্তারা। তাদের মতে, পড়ুয়াদের পোশাকের মাপের কিছুটা গন্ডগোল হতে পারে। সেটা তখনই স্বনির্ভর গোষ্ঠীকে জানালে তারা মাপ ঠিক করে দিয়ে দিচ্ছে। তবে বাচ্চাদের পোশাকের মান নিয়ে কোনও অভিযোগ নেই।