বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নয়া বছরেই শুরু কড়াকড়ি। কদিন আগেই রাজ্যের সমস্ত স্কুলের শিক্ষকদের (Teachers) জন্য কয়েক দফা নির্দেশ জারি করা হয়েছে মধ্যশিক্ষা পর্ষদ (West Bengal Board Of Secondary Education) তরফে। এবার রাজ্যের কোন স্কুলে কত পড়ুয়া রয়েছে, কত শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মীর সংখ্যা কত, সে বিষয়ে তথ্য চাইল শিক্ষা দফতর (West Bengal Education Department)।
সূত্রের খবর, পঞ্চম থেকে দ্বাদশ শ্রেণি পর্যন্ত রাজ্যের কোন স্কুলে কত পড়ুয়া সেই সংখ্যা একইসাথে স্কুলগুলিতে উপস্থিত শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মীর সংখ্যা জানাতে হবে। কোন স্কুলে কত শূন্যপদ অর্থাৎ ফাঁকা পদ রয়েছে সেই সংক্রান্ত তথ্যও তলব করেছে শিক্ষা দফতর। প্রত্যেক স্কুলের প্রধান শিক্ষককে এই সমস্ত তথ্য জেলা স্কুল পরিদর্শকের কাছে জমা দিতে হবে। তার পর সেই রিপোর্ট বিকাশ ভবনে পৌঁছবে।
বিকাশ ভবন সূত্রে জানা গিয়েছে, রাজ্যের প্রায় ২৫০ এর কাছাকাছি স্কুলে ছাত্র ভর্তির হার শূন্যের সমান। তবে এমন নয় যে সেখানে কোনো শিক্ষক নেই। সেই সব স্কুল পিছুও রয়েছেন পাঁচ-ছয় জন করে শিক্ষক। তথ্য বলছে, পড়ুয়া সংখ্যার অনুপাতে রাজ্যের বিভিন্ন স্কুলে প্রায় ১২০০ এর অধিক শিক্ষক রয়েছেন। এই অবস্থায় তাদের বদলির কথা ভাবছে রাজ্য। তাই সমস্ত তথ্য হাতে পেতে চাইছে শিক্ষা দফতর।
দুটি বিষয়ে এখানে উল্লেখ্য, সাধারণত কোনও স্কুলে প্রতি ৪০ জন পড়ুয়াপিছু এক জন শিক্ষক থাকলে তা আদর্শ ছাত্র-শিক্ষক অনুপাত হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে। যদিও বিষয়ভিত্তিক শিক্ষকের ক্ষেত্রে ১১০-১২০ জন পড়ুয়াপিছু এক জন যদি শিক্ষক থাকেন সেই অনুপাতকেও আদৰ্শ ধরা হয়। এবার কোন কোন স্কুলে এই অনুপাতের চেয়ে কত বেশি বা কম শিক্ষক আছেন সেই সংক্রান্ত তথ্য সংগ্রহ করা হবে।
আরও পড়ুন: পরিস্থিতি মোকাবিলায় তৈরি! চিনের hMPV ভাইরাস নিয়ে WHO-র কাছে একটাই আর্জি জানাল ভারত
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই সময়ে দাঁড়িয়ে সুতোর উপর ঝুলছে প্রায় ২৬০০০ শিক্ষকের ভাগ্য। নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগে এসএসসি ২০১৬ সালের গোটা প্যানেল বাতিল করেছে কলকাতা হাইকোর্ট। তবে আপাতত সেই নির্দেশের উপর সুপ্রিম কোর্টের স্থগিতদেশ রয়েছে। আগামী মঙ্গলবার ফের সেই মামলা উঠবে সর্বোচ্চ আদালতে। সেখানে কি এই ২৬০০০ শিক্ষকেরই চাকরি খোয়া যাবে? নাকি বহাল থাকবে যোগ্যরা? রায় দেবে সুপ্রিম কোর্ট।