বাংলা হান্ট ডেস্কঃ নিট পরীক্ষা (NEET Examination) নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে উত্তাল দেশ। প্রশ্নপত্র ফাঁস থেকে শুরু করে পরীক্ষায় স্বচ্ছতা, একাধিক অভিযোগ উঠেছে। সম্প্রতি আবার ন্যাশানাল টেস্টিং এজেন্সির তরফ থেকে জানানো হয়েছে, ১৫৬৩ জন পরীক্ষার্থী যাদের বাড়তি নম্বর তথা গ্রেস মার্কস দেওয়া হয়েছিল, তা বাতিল করা হবে। এর আবহেই নয়া দাবিতে সুর চড়ালেন পশ্চিমবঙ্গের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)।
ডাক্তারি প্রবেশিকা পরীক্ষায় (Medical Joint Examination) যে কারচুপির অভিযোগ উঠেছে, তা নিয়ে এবার কেন্দ্রকে নিশানা করলেন রাজ্যের মন্ত্রী। ব্রাত্য বলেন, রাজ্যের হাতে পুনরায় মেডিক্যাল জয়েন্ট পরীক্ষা ফিরিয়ে দেওয়া হোক। এই ব্যর্থতার পর স্বতঃপ্রণোদিতভাবে রাজ্যের হাতে তা ফিরিয়ে দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেন তিনি।
ব্রাত্যর কথায়, ‘এটা কেন্দ্রীয় সরকারের ব্যর্থতা। হাজার হাজার ছাত্রছাত্রীর ভবিষ্যৎ নিয়ে ছিনিমিনি খেলা হয়েছে। আমাদের রাজ্যের শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে তো প্রচুর আলোচনা হল। অনেক টক শো, তদন্ত হল। গ্রেফতারিও হয়েছে। তবে কেন্দ্রের এই NEET, যা গোটা ভারতের ক্ষেত্রে ভীষণ সম্মানের একটি পরীক্ষা, সেটার ক্ষেত্রে যা ঘটল তা গোটা দেশ দেখছে’।
আরও পড়ুনঃ কেষ্ট কাণ্ডের পর ফের শিরোনামে সেই শিবঠাকুর, এবার শতাব্দীর রোষের মুখে ‘ফেমাস’ দম্পতি
রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রীর প্রশ্ন, এর জন্য কি কেন্দ্রীয় এজেন্সি ED কিংবা CBI আসরে নামবে না? তিনি বলেন, ‘এর জন্য কোনও তদন্ত হবে না? ED কিংবা CBI মাঠে নামবে না? এই ব্যর্থতার পর আমি মনে করি ওদের স্বতঃপ্রণোদিতভাবে ফের রাজ্যের হাতে ফিরিয়ে দেওয়া উচিত’।
উল্লেখ্য, এর আগে নানান রাজ্যের বোর্ডগুলি আলাদা আলাদা করে মেডিক্যাল এন্ট্রান্স পরীক্ষা নিত। ডাক্তারি পরিক্ষার জন্য রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলিতেই শিক্ষার্থীরা ভর্তি হতেন। তবে ২০১৩ সাল থেকে বদলে যায় চিত্র। সর্বভারতীয় স্তরে একটিই পরীক্ষা শুরু হয়। তবে এতে বেশ কিছু বোর্ড আপত্তি জানানো ২০১৪-১৫ সালেও তা চালু করা যায়নি।
শেষে ২০১৬ সালে দেশের শীর্ষ আদালত সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ অনুসারে ঠিক হয় সর্বভারতীয় ডাক্তারি পরীক্ষার কাউন্সেলিং হবে। চিকিৎসকেরা নানান রাজ্যে যাবেন। তবে যেহেতু সুপ্রিম কোর্ট নির্দেশ দিয়েছে, তাই ফের রাজ্যের হাতে ডাক্তারির প্রবেশিকা পরীক্ষা আসবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। বিশেষ কোনও ব্যবস্থা ছাড়া পুনরায় তা ফেরত আসা অসম্ভব বলেই অনুমান।