বাংলা হান্ট ডেস্ক : বাকি রয়েছে একশো দিনের কাজের টাকা। আবাস যোজনার টাকা (Money) নিয়েও চলছে আন্দোলন। সেই আন্দোলনের আবহেই দীপাবলির আগে বাংলার জন্য মোটা টাকা বরাদ্দ করল কেন্দ্র (Central Tax)। গত মঙ্গলবারই এই বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে কেন্দ্র। উল্লেখ্য, পঞ্চদশ অর্থ কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী আদায় হওয়া কেন্দ্রীয় করের ৪১ শতাংশ রাজ্যের প্রাপ্য।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দেশের সব রাজ্যের জন্য প্রায় ৭২,৯৬১ কোটি টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে বলে খবর। তারমধ্যে বাংলার ভাগ্যে এসেছে ৫ হাজার ৪৮৮ কোটি টাকা। তবে সবচেয়ে বেশি টাকা পেয়েছে যোগী আদিত্যনাথের উত্তরপ্রদেশ। যোগী রাজ্যের জন্য বরাদ্দ করা হয়েছে প্রায় ১৩ হাজার ৮৮ কোটি টাকা। যা দেশের সমস্ত রাজ্যের চেয়ে বেশি।
এই প্রসঙ্গে নবান্নের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, কোন রাজ্য কত টাকা কর হিসেবে পাবে তা সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করে সেই রাজ্যের জনসংখ্যা ও আয়তনের উপর। সেই হিসেবে, উত্তরপ্রদেশের জনসংখ্যা এবং আয়তন উভয়ই বেশি। তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশের দাবি, বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচন। আর সেই নির্বাচনের দিকে তাকিয়েই নাকি উত্তরপ্রদেশের জন্য এতটাকা বরাদ্দ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন : অবশেষে বিজ্ঞানীরা খুঁজে পেলেন এলিয়েনদের ঠিকানা! প্রকাশ্যে এল হাড়হিম করা তথ্য
কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, যেহেতু হিন্দি বলয় থেকে একটা বড় ভোট সরকার পায় তাই এই সিদ্ধান্ত। কারণ, হিন্দি বলয় মুখ ফিরিয়ে নিলে সরকার গড়া অসম্ভব হয়ে উঠবে। এই বিষয়ে কী বলছে তৃণমূল? এইদিন শাসকদলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ বলেন, ‘বাংলা থেকে কেন্দ্রীয় কর বাবদ এই অর্থ আদায় করা হয়। তাই এটা কেন্দ্রের কোনও খয়রাতি নয়। বরং বাংলার মানুষ যে হারে কেন্দ্রীয় সরকারকে কর দিচ্ছে তার মাত্র একটা ছোট অংশ। যা রাজ্যের উন্নয়নের জন্য ফেরত আসছে।’
আরও পড়ুন : “বাচ্চাদের কবিতা এপাং-ওপাং-ঝপাং হবে না তো কী হবে!” নিজের কবিতার বই নিয়ে সাফাই মুখ্যমন্ত্রীর
একথা বলাই বাহুল্য যে, এই টাকা সঠিকভাবে কাজে লাগালে বাংলার মানুষ ব্যাপকভাবে উপকৃত হবে। রাস্তাঘাট থেকে শুরু করে স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল এবং সাধারণ মানুষের নানা ধরণের জনকল্যাণমূলক কাজে লাগবে এই টাকা। ওয়াকিবহাল মহলের পর্যবেক্ষণ, এই বিপুল পরিমাণ অর্থের উপর কেন্দ্রের আর কোনও খবরদারি নেই। রাজ্য সরকার তাদের ইচ্ছেমত এই মূলধনকে কাজে লাগাতে পারে।