বাংলা হান্ট ডেস্কঃ উচ্চ প্রাথমিক শিক্ষক নিয়োগের মামলায় হাইকোর্টে যথেষ্ট ধাক্কা খেতে হয়েছে রাজ্য সরকারকে (West Bengal Government)। ইন্টারভিউ তালিকা নিয়োগ প্রার্থীদের মেরিট নম্বর না থাকায় আবার নতুন করে ইন্টারভিউ তালিকা প্রকাশ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে স্কুল সার্ভিস কমিশনকে। এরই মধ্যে ফের একবার শিক্ষক নিয়োগের মামলায় আদালতে ধাক্কা খেলো রাজ্য সরকার। তবে এবার হাইকোর্ট নয়, আবেদনকারী চাকরিপ্রার্থীদের পক্ষে রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। পরিষ্কার জানানো হয়েছে যে সমস্ত ছাত্র-ছাত্রী ডিএলএড (d.el.ed) পাস করেছেন তাদের জন্য ৩১ মার্চের মধ্যে আবার পরীক্ষা নিতে হবে রাজ্য সরকারকে।
প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগের জন্য শেষবার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়েছিল ২০১৭ সালে। যদিও শেষ পর্যন্ত পরীক্ষা নেওয়া হয় ২০২১ সালের জানুয়ারি মাসে। ডিএলএড না থাকায় তখন আবেদন করতে পারেননি অনেক ছাত্র-ছাত্রী। কিন্তু পরবর্তী ক্ষেত্রে ২০১৮-২০ শিক্ষা বর্ষের অনেকেই আবেদন জানান পরীক্ষায় তাদের বসতে দেওয়া হোক। কারণ এনসিটিইর নিয়ম অনুযায়ী প্রতিবছর টেট পরীক্ষা নেওয়ার কথা। অথচ ছাত্র-ছাত্রীদের বয়সসীমা পার হয়ে যাচ্ছে, কিন্তু পরীক্ষা দেওয়ার সুযোগ পাচ্ছেন না তারা।
মামলাকারীর ছাত্র-ছাত্রীদের বক্তব্য, ”যারা এই ৪ বছরের মধ্যে এলিজিবল হল তাদেরও পরীক্ষায় বসতে দেওয়া হোক কারণ পরীক্ষা না নেওয়াটা বোর্ডের ব্যর্থতা। হাইকোর্টে জাস্টিস রাজর্ষি ভরদ্বাজের সিঙ্গেল বেঞ্চ আমাদের জিতিয়ে অর্ডার দেন পরীক্ষায় বসার। আমরা পরীক্ষা দিই কিন্তু তারপর বোর্ড ডিভিশন বেঞ্চে যায় এবং সৌমেন সেন ও সুগত ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চ আমাদের হারিয়ে দেয়।”
সেই কারণেই এবার সুপ্রিম কোর্টে মামলা করেছিলেন আবেদনকারীরা। এই মামলাতে এবার চাকরি প্রার্থীদের পক্ষেই রায় দিল সুপ্রিম কোর্ট। এদিন বিচারপতি আব্দুর নাজির এবং বিচারপতি কৃষ্ণ মুরারির ডিভিশন বেঞ্চের পক্ষথেকে রাজ্য সরকারকে জানানো হয় ৩১ মার্চের মধ্যে নতুন করে অবশ্যই পরীক্ষা নিতে হবে রাজ্য সরকারকে। এই রায়ে খুশি চাকরিপ্রার্থীরাও।