বাংলা হান্ট ডেস্ক : মনোনয়ন পর্ব শেষ। তবে গত সাত দিন ধরে যে অশান্তির পরিস্থিতি দেখা গিয়েছে রাজ্যে, তাতে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন স্বয়ং রাজ্যপাল সি ভি আনন্দ বোস (C.V. Ananda Bose)। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে খোঁজ নিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ (Amit Shah)। রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে (State Election Commission) নোটিস পাঠিয়েছে জাতীয় তপশিলি কমিশন।
এই পরিস্থিতির মধ্যেই কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। সেই নির্দেশ কোথায়, কীভাবে কার্যকর হয়, সেদিকেই তাকিয়ে রয়েছে সব মহল।
৪৮ ঘণ্টার মধ্যেই রাজ্যের সব জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Force) মোতায়েনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এবার হাইকোর্টের সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যেতে চলেছে রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশন (State Election Commission)। শনি এবং রবিবার সুপ্রিম কোর্ট বন্ধ থাকবে। তাই ‘ই-ফাইলিং’ করার ভাবনাচিন্তা চলছে বলে নবান্নের একটি সূত্রের খবর। রাজ্য নির্বাচন কমিশনও কি সুপ্রিম কোর্টে যাচ্ছে? নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিংহ এ ব্যাপারে স্পষ্ট করে কিছু জানাননি।
হাই কোর্টের নির্দেশ ছিল, ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে কেন্দ্রের কাছে বাহিনী চাইতে হবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে। সেই নির্দেশের পর ২৪ ঘণ্টা অতিক্রান্ত। হাতে রয়েছে কেবলমাত্র শনিবার। তার মধ্যেই কেন্দ্রের কাছে বাহিনী চেয়ে আবেদন করতে হবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে। যদিও হাই কোর্টের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার রাস্তা খোলা। কিন্তু প্রশ্ন হল, রাজ্য সরকার বা রাজ্য নির্বাচন কমিশন কি সত্যিই সেই রাস্তায় হাঁটতে চলেছে? শুক্রবার রাত পর্যন্ত কোনও পক্ষই স্পষ্ট করে কিছু জানায়নি, ফলে তা নিয়েই চলছে জল্পনা।
নবান্ন মনে করছে, আইন অনুযায়ী পঞ্চায়েত ভোটে নিরাপত্তার দায়িত্ব রাজ্যের উপর। দস্তুর হল, কোথায় কত পুলিশ লাগবে, নির্বিঘ্নে ভোট করাতে নিরাপত্তা সংক্রান্ত কী কী পদক্ষেপ করা দরকার, তা রাজ্যের কাছে জানতে চাইবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। রাজ্যের দেওয়া তথ্যের উপর ভিত্তি করে নির্বাচনী নিরাপত্তার কাজ সম্পন্ন করবে কমিশন।
নিরাপত্তা সংক্রান্ত সমস্ত খুঁটিনাটি রাজ্য সরকারই কমিশনকে অবহিত করবে। নবান্ন মনে করছে, হাই কোর্ট কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে রাজ্যকে এড়িয়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে সরাসরি নির্দেশ দিয়েছে। তাকে চ্যালেঞ্জ করেই সুপ্রিম কোর্টে যাওয়ার ভাবনা রয়েছে নবান্নের। শনি এবং রবিবার সুপ্রিম কোর্ট বন্ধ। এই অবস্থায় ‘ই-ফাইলিং’-এর মাধ্যমে মামলা নথিভুক্ত করানোর কথা ভাবছে নবান্ন। সেই কাজও চলছে বলে সূত্রের খবর।