বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আর জি কর (RG Kar) ইস্যুকে ক্রমশ চড়ছে উত্তাপ। নির্যাতিতা চিকিৎসকের বিচারের দাবিতে একদিকে যখন পথে নেমেছে সব শ্রেণীর মানুষ, অন্যদিকে এই ইস্যুকে হাতিয়ার করে শাসকদলের উপর চাপ বাড়াচ্ছে গেরুয়া শিবির। আর জি কর নৃশংস হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদে মঙ্গলবার নবান্ন অভিযানের ডাক দিয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজ। আর সেই আন্দোলন ঘিরে দফায় দফায় উত্তপ্ত হয়ে ওঠে রাজপথ। ‘শান্তিপূর্ণ’ আন্দোলনে পুলিশ ‘অত্যাচার’, ‘সন্ত্রাস’ চালিয়েছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে বুধবার ১২ ঘণ্টা বাংলা বনধের (Bangla Bandh) ডাক দিয়েছে বিজেপি (BJP)। ওদিকে ইতিমধ্যেই এই নিয়ে হাইকোর্টের (Calcutta High Court) দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য সরকার।
বনধ পণ্ড করতে হাইকোর্টে রাজ্য (West Bengal Government)
‘স্বাভাবিক জনজীবন যেন কোনোভাবেই ব্যাহত না হয়’। এই আর্জি নিয়ে হাইকোর্টের দ্বারস্থ রাজ্য সরকার। জনস্বার্থ মামলা দায়ে করার অনুমতি দিয়েছে প্রধান বিচারপতির বেঞ্চ। বিজেপির ডাকা বনধ ব্যর্থ করতেই এই পদক্ষেপ সরকারের। আজ বুধবার এই মামলা শুনানি হবে প্রধান বিচারপতি টি এস শিবগনামের বেঞ্চে।
- মূল ঘটনা: মঙ্গলবার নবান্ন অভিযান (Nabanna Abhijan) ঘিরে ধুন্ধুমার বাঁধে শহরের বুকে। পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের ডাকা বিক্ষোভ ঘিরে দফায় দফায় উত্তেজনা ছড়ায়। কোথাও আহত হন আন্দোলনকারী, কোথাও আক্রান্ত পুলিশ। বিক্ষোভকারী-পুলিশ সংঘর্ষে সবমিলিয়ে রণক্ষেত্রের রূপ নেয় গোটা শহর।
পড়তে ভুলবেন না: ৩১ অগস্ট পর্যন্ত টানা বৃষ্টি! আজ দক্ষিণবঙ্গের কোন কোন জেলা ভিজবে? আবহাওয়ার খবর
মহিলা, পুরুষ মিলিয়ে প্রচুর আন্দোলনকারী আহত হন নবান্ন অভিযানে। আন্দোলনকারীদের আটক করে নিয়ে যায় পুলিশ। এই সব ঘটনার প্রতিবাদে দুপুরেই সাংবাদিক বৈঠক করে সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা ১২ ঘণ্টা ধর্মঘটের ডাক দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার।
১২ঘণ্টা ‘সাধারণ ধর্মঘট’ এর ডাক দিয়েছেন তিনি। সকলকে এই বন্ধ সফল করার আহ্বানও জানিয়েছেন সুকান্ত। সাংবাদিক বৈঠক থেকে বিজেপি নেতা বলেন, ‘‘আগামীকাল বাংলা বনধ। সকলে মিলে এই বনধ সফল করুন। পরশু থেকে আমরাও ধর্না শুরু করব। ছাত্র সমাজকে সব রকম আইনি ও মেডিক্যাল সাহায্য দেওয়ার জন্য আমরা প্রস্তুত। সেই লক্ষ্যে পুনরায় হেল্পলাইন নম্বর চালু করছি।’
পড়তে ভুলবেন না: কনফার্ম খবর! ফের বাড়ছে সরকারি কর্মীদের DA, কত শতাংশ? রাখঢাক না রেখে ঘোষণা করল রাজ্য
ওদিকে বিজেপি নেতার ঘোষণার কিছুক্ষণের মধ্যেই সাংবাদিক বৈঠক থেকে পাল্টা তৃণমূল নেতা কুণালাগছে ঘোষ সাফ জানালেন, ‘কোনো বন্ধ হচ্ছে না।’ এর কিছুক্ষণ পরই সরকারের তরফে রাজ্যের মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য সাংবাদিক বৈঠক থেকে জানান, বনধ হচ্ছে না। তার প্রশ্ন, ‘এই বনধটা কেন? পুজোর আগে সমস্ত বাণিজ্য বন্ধ করে দেওয়ার জন্য বন্ধ করে দেওয়ার জন্য! এই সময়ের বাণিজ্যিক লেনদেনের জন্য এই রাজ্য অর্থনীতি সব রাজ্যের থেকে চাঙ্গা। অর্থনীতিতেও বাধা ফেলে, একটা কিছু করতে হবে আন্দোলনের নামে। তাই এই বনধ। এই বনধ প্ররোচনামূলক। এর পেছনে গভীর অভিসন্ধি রয়েছে। বাংলার মানুষকে এই বনধ সফল না হতে দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। এই নিয়েই এবার জল গড়াল হাইকোর্টে।