বাংলা হান্ট ডেস্কঃ বাংলার রাজ্য সরকারি কর্মীরা বর্তমানে ষষ্ঠ বেতন কমিশনের অধীন ১৪% হারে ডিএ (Dearness Allowance) পাচ্ছেন। তাঁদের মহার্ঘ ভাতা নিয়ে টানাপড়েন অব্যাহত। বছর শেষের আগে তাঁদের ডিএ (DA) বৃদ্ধির ঘোষণা হবে কিনা এই নিয়ে জল্পনাকল্পনাও চলছে। এই আবহে মুখ খুললেন কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক মলয় মুখোপাধ্যায়। দাবি করেন, ‘ডিএ প্রদানের ক্ষেত্রে এই রাজ্যে কোনও নিয়ম নীতি মানা হয় না’।
ডিএ (Dearness Allowance) বৃদ্ধি নিয়ে কী বললেন মলয় মুখোপাধ্যায়?
কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ‘মহার্ঘ ভাতার প্রসঙ্গ উঠলে (পশ্চিমবঙ্গের) মুখ্যমন্ত্রী কখনও বলেন, কেন্দ্রের রিজার্ভ ব্যাঙ্ক রয়েছে। কখনও আবার বলেন রাজ্যের চাকরি ছেড়ে কেন্দ্রীয় চাকরি দিতে। তবে ডিএ তো কেন্দ্রের ইচ্ছার ওপর নির্ভরশীল নয়। এআইসিপিআই নিয়ম অনুযায়ী কেন্দ্র ডিএ দিয়ে থাকে’।
বিষয়টি ব্যাখ্যা করে মলয়বাবু বলেন, ২০১৭ সালের ১ জুলাই ১% হারে মহার্ঘ ভাতা (Dearness Allowance) বাড়ানো হয়েছিল। এরপর ২০১৯ সালের ১ জুলাই আবার সবচেয়ে বেশি ৫% হারে বৃদ্ধি করা হয়। প্রত্যেক মাসে এআইসিপিআই নামক স্বশাসিত প্রতিষ্ঠান মূল্যসূচকের ঘোষণা করে। সেটা যেমন কোনও এক মাসে ০ হতে পারে, তেমনই কোনও এক মাসে ৮% থেকে ১০% ও হতে পারে। তবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার (Government of West Bengal) ডিএ প্রদানের ক্ষেত্রে কোনও নিয়ম নীতি মানা হয় না বলে দাবি করেন তিনি।
আরও পড়ুনঃ ‘১ সপ্তাহের মধ্যে…’! কড়া নির্দেশ দিয়ে দিল ‘ক্ষুব্ধ’ হাইকোর্ট
মলয়বাবুর কথায়, ‘প্রধানত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর ইচ্ছার ওপর ডিএ নির্ভর করে। গত ফেব্রুয়ারিতে বাজেট পেশের দিন ৪% মহার্ঘ ভাতা বাড়ানো হয়েছিল। তবে ২০২৪ সালের ১ এপ্রিল থেকে বর্ধিত ডিএ কার্যকর করার ঘোষণা করা হয়… এটাই রাজনৈতিক চমক’।
কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজের সাধারণ সম্পাদক কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের সঙ্গে বাংলার রাজ্য সরকারি কর্মীদের (Government Employees) মহার্ঘ ভাতার ফারাকের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘২০২৩ সালের ১ জুলাই যেমন ৪০% ফারাক ছিল। ২০২৪ সালের ১ জুলাইয়ে সেটা ১% কমে ৩৯% হয়েছে’।
উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা বর্তমানে সপ্তম বেতন কমিশনের অধীন ৫৩% হারে ডিএ (Dearness Allowance) পাচ্ছেন। অন্যদিকে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মীরা ষষ্ঠ বেতন কমিশনের অধীন ১৪% হারে মহার্ঘ ভাতা দেওয়া হয়। চলতি বছর শেষ হওয়ার আগে বা নববর্ষের শুরুতে তাঁদের কোনও সুখবর দেওয়া হয় কিনা সেটাই এবার দেখার।