২ সপ্তাহ পর…! বাংলার DA মামলায় বিরাট আপডেট, কপাল খুললো রাজ্য সরকারি কর্মীদের?

বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ঝুলেই রইল ভাগ্য। ১১৯ দিন পর সোমবার ডিএ (Dearness Allowance) মামলার শুনানি হওয়ার কথা ছিল সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court)। এর আগ ১২বার ডিএ মামলার শুনানি পিছিয়েছে সর্বোচ্চ আদালতে। এবারও একই কাণ্ড। সুপ্রিম কোর্টে ফের একবার পিছিয়ে গেল বাংলার সরকারি কর্মচারীদের DA মামলার শুনানি।

ডিএ (Dearness Allowance) মামলায় কি জানা গেল?

আশঙ্কা ছিল, আর তাই সত্যি হল। কজলিস্ট অনুযায়ী জানা গিয়েছিল ৬০ নম্বরে নথিভুক্ত রয়েছে পশ্চিমবঙ্গ সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ মামলা। সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ নম্বর আদালতকক্ষে বিচারপতি হৃষিকেশ রায় এবং বিচারপতি এসভিএন ভাট্টির বেঞ্চে এই মামলা ওঠার কথা ছিল। মোট ৬০টি মামলাই নথিভুক্ত করা হয়েছিল আর সব শেষে ছিল সরকারি কর্মচারীদের ডিএ মামলা।

এর আগে যতবারই শুনানির দিন এসেছে ততবারই হতাশ হতে হয়েছে রাজ্য সরকারি কর্মীদের। আজও তা পিছু ছাড়ল না। প্রতিবারই কোনো না কোনও কারণে পিছিয়ে গিয়েছে শুনানি। অতীতে বহুবার সময়ের অভাবে ডিএ মামলার শুনানি হয়নি বা হলেও সামান্য সময়ের জন্যই হয়েছে। এবারও তাই হল।

এরপর মামলার পরবর্তী শুনানি কবে রয়েছে সেই বিষয়ে কিছু জানায় নি সুপ্রিম কোর্ট। তবে সর্বোচ্চ আদালত তরফে জানানো হয়েছে মামলাটির বিস্তারে শুনানির প্রয়োজন রয়েছে। মামলাটির শুনানির দিন কবে ঠিক হবে তা জানা যাবে ২ সপ্তাহ পর। জানা গিয়েছে এদিন শুনানির জন্য আরও কিছুটা সময় চেয়ে নেয় রাজ্য। এরপরই শুনানি স্থগিত রাখে সুপ্রিম কোর্ট।

প্রসঙ্গত গত ২০২২ সালের ২০ মে ডিএ মামলা হাইকোর্টে উঠলে আদালতের নির্দেশ ছিল, তিন মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দিতে হবে। তবে সেবার জয় পেয়েও মেলেনি বকেয়া।

dearness allowance

আরও পড়ুন: হাইকোর্টে রাজ্যপাল ভার্সাস মমতা মামলার শুনানি শেষ, কি নির্দেশ দিলেন বিচারপতি রাও?

উচ্চ আদালতের ডিএ (Dearness Allowance) রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রিভিউ পিটিশন দাখিল করেছিল রাজ্য। যদিও তা খারিজ হয়ে যায়। এরই মাঝে তিনটি রাজ্য সরকারি কর্মচারী সংগঠন রাজ্যের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলার দায়ের করে। সেই মামলার মধ্যেই পাল্টা সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য। এখনও সেই মামলাই ঝুলে রয়েছে সর্বোচ্চ আদালতে।


Sharmi Dhar
Sharmi Dhar

শর্মি ধর, বাংলা হান্ট এর রাজনৈতিক কনটেন্ট রাইটার। উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় স্নাতকোত্তর। বিগত ৩ বছর ধরে সাংবাদিকতা পেশার সঙ্গে যুক্ত ।

সম্পর্কিত খবর