বাংলা হান্ট ডেস্কঃ সামনেই বাংলার রাজ্য সরকারি কর্মীদের ডিএ (Dearness Allowance) মামলা উঠবে সুপ্রিম কোর্টে। আগামী ২৫ মার্চ (মঙ্গলবার) পশ্চিমবঙ্গের রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের ডিএ মহার্ঘ ভাতা (ডিয়ারনেস অ্যালোওয়েন্স বা ডিএ) মামলা (DA Case) সুপ্রিম কোর্টে (Supreme Court) উঠবে বলে আগেই জানা গিয়েছিল।। এবার সর্বোচ্চ আদালতে ডিএ মামলার কজ লিস্ট সামনে এল।
সুপ্রিম কোর্টে DA মামলা নিয়ে বড় আপডেট (Dearness Allowance)
শুক্রবার সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে কজ লিস্ট সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশিত হয়। উল্লেখ্য, এর আগে শেষবার গত ৭ জানুয়ারি ডিএ মামলাটি ছিল সুপ্রিম কোর্টের তালিকায়। তবে সেদিনও শুনানি হয়নি। মামলাটি পিছিয়ে দেওয়া হয়েছিল। এর আগে মোট ১৪ বার সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলার (Dearness Allowance) শুনানি পিছিয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইট থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, আগামী ২৫ মার্চ মামলাটি সুপ্রিম কোর্টের তালিকাভুক্ত রয়েছে। বিচারপতি সঞ্জয় কারোল এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রর বেঞ্চে এই মামলা উঠতে চলেছে। সুপ্রিম কোর্টের ১৬ নং কোর্ট রুমে ওঠার কথা রয়েছে ডিএ মামলা। যা সেদিনের তালিকায় ৪৪ নং ক্রমতালিকায় রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০২২ সালের নভেম্বর থেকে সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলা চলছে। মাঝের সময়ে ডিএ মামলা বহুবার শুনানির জন্য উঠলেও শুনানি হয়নি। বারে বারে পিছিয়ে গিয়েছে। প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ৪% হারে ডিএ বৃদ্ধি করেছে রাজ্য। যার ফলে ডিএ-র পরিমাণ গিয়ে দাঁড়াবে ১৮ শতাংশে। এদিকে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীরা ৫৩% হারে ডিএ পাচ্ছেন। অর্থাৎ কেন্দ্র-রাজ্য ব্যাবধান ৩৫ শতাংশ।
২০২২ সালের ২০ মে ডিএ মামলা কলকাতা হাইকোর্টে উঠলে আদালতের নির্দেশ ছিল, তিন মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দিতে হবে রাজ্য সরকারকে। তবে সেবার জয় পেয়েও মেলেনি বকেয়া। উচ্চ আদালতের ডিএ (Dearness Allowance) রায়কে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে রিভিউ পিটিশন দাখিল করেছিল রাজ্য। যদিও তা খারিজ হয়ে যায়।
এরই মাঝে তিনটি রাজ্য সরকারি কর্মচারী সংগঠন রাজ্যের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলার দায়ের করে। সেই মামলার মধ্যেই পাল্টা সুপ্রিম কোর্টে যায় রাজ্য। সেই সময় ২০২২ সালের নভেম্বর থেকে সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলা চলছে। হাইকোর্টে ডিএ মামলাকারীরা জয় পেয়েছিল।
আরও পড়ুন: এবার আদালত পদক্ষেপ নিতে বাধ্য হবে! রাজ্যকে কড়া হুঁশিয়ারি হাইকোর্টের, কোন মামলায়?
গত ২০২২ সালের ২০ মে হাই কোর্ট নির্দেশ দিয়েছিল যে তিন মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ মিটিয়ে দিতে হবে। এরপরই রাজ্য সরকার স্পেশাল লিভ পিটিশন দায়ের করে। সেই প্রেক্ষিতেই মামলা শুরু হয়। তারপর থেকে আরও একাধিকবার সুপ্রিম কোর্টে ডিএ মামলা আদালতে উঠলেও বারে বারে শুনানি পিছিয়ে গিয়েছে। এবারে কী হয় সেটাই দেখার।