বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ডিএ (Dearness Allowance) মামলায় সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে চাপে রাজ্য সরকার (West Bengal State Government)। আগামী ছয় সপ্তাহের পঞ্চম বেতন কমিশন অনুযায়ী, কর্মীদের বকেয়া মহার্ঘ ভাতার ২৫ শতাংশ দিয়ে দিতে মমতা সরকারকে। তবে বকেয়ার টাকা কী পদ্ধতিতে দেওয়া হবে সেই ব্যাপারে সুপ্রিম কোর্ট নির্দিষ্ট করে কিছু বলেনি।
বকেয়া ডিএ নিয়ে আপডেট | Dearness Allowance
প্রশাসনিক মহল বলছে, রাজ্য সরকারি কর্মীদের বকেয়া ডিএ-র টাকা জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ড (জিপিএফ) General Provident Fund (GPF) তহবিলে জমা দেওয়ার সুযোগ থাকছে সরকারের কাছে। যাঁরা এখনও কর্মরত তাঁদের জিপিএফ তহবিলে টাকা জমা দেওয়ার সুযোগ আছে।
২০১৯ সালের জুলাই মাসে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল (স্যাট) পঞ্চম বেতন কমিশনের বকেয়া ডিএ-র ফেরত দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে জানায়, রাজ্য সরকার চাইলে ছ’মাসের মধ্যে বকেয়া টাকা কর্মীদের জিপিএফ-এও দিতে পারে। অবসরপ্রাপ্ত কর্মী বা পেনশন প্রাপকদের ক্ষেত্রে বকেয়া টাকা সরাসরি দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল।
যদি কর্মীদের পিএফে রাজ্য বকেয়া ডিএ’র টাকা জমা দেয় তাহলে তা সরকারের তহবিলেই থাকবে। প্রভিডেন্ট ফান্ডে জমা টাকা রাজ্য সরকার নিজেস্ব প্রয়োজনে ব্যবহার করতে পারবে। আবার জিপিএফে টাকা জমা রাখলে এই মুহূর্তে সরকারের বিপুল পরিমাণ টাকা এক ধাক্কায় খরচ হবে না।
ভিডিও দেখুন: https://youtu.be/jcPMBx8GxNo?si=UTUcIxTQsIhuoJ7f
প্রভিডেন্ট ফান্ডে টাকা রাখলে তা অবসরের সময় সুদ সহ সরকারি কর্মীরা পাবেন। উল্লেখ্য, জিপিএফে জমা টাকার উপর কর্মীরা বার্ষিক ৭.১ শতাংশ হারে সুদ পান। বিশেষ প্রয়োজনে জিপিএফ থেকে অগ্রিম টাকাও তোলা যায়। এর আগে ১৯৯৮ সালে বেতন কমিশনের বকেয়া অর্থ জিপিএফে জমা পড়েছিল।
আরও পড়ুন: এবার সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের কাছে বড় আবদার অনুব্রতর! ‘দাদা’র কাছে কী চাইলেন তৃণমূলের কেষ্ট?
শুক্রবার বিচারপতি সঞ্জয় করোল এবং বিচারপতি মনোজ মিশ্রের বেঞ্চে এই মামলা শুনানির জন্য উঠলে সুপ্রিম কোর্টে ২৫% মিটিয়ে দেওয়ার কথা বলে। সেই মত বকেয়ার ২৫ শতাংশ দিতে সরকারের ১০ হাজার কোটি টাকা খরচ হওয়ার কথা রাজ্যের। এক্ষেত্রে জিপিএফে টাকা দিলে রাজ্যের চাপ অনেকটাই কমবে বলে মনে করা হচ্ছে।