বাংলা হান্ট ডেস্কঃ দীর্ঘ আইনি লড়াইয়ের পর বকেয়া ডিএ (Dearness Allowance) মামলায় কিছুটা স্বস্তি পেয়েছেন রাজ্য সরকারি কর্মীরা (State Government Employees)। গত ১৬ মে বকেয়া ডিএ মামলায় সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশ ছিল, রাজ্য সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতার ২৫ শতাংশ মিটিয়ে দিতে হবে রাজ্য সরকারকে। তাও ৬ সপ্তাহ সময়ের মধ্যে।
ডিএ নিয়ে কোন পথে রাজ্য? Dearness Allowance
মামলার শুনানিতে সুপ্রিম কোর্টের আরও নির্দেশ ছিল, ৪ সপ্তাহের মধ্যে সরকার পক্ষকে লিখিত আকারে তাদের বক্তব্য এবং কাজের অগ্রগতি রিপোর্ট জমা দিতে হবে। সেই রিপোর্ট জমা পড়েছে কি না, তা স্পষ্ট নয়। তবে পার হয়েছে ডেডলাইন। একাধিক মিডিয়াম রিপোর্ট বলছে, সেই জবাব এখনও জমা পড়েনি সুপ্রিম কোর্টে।
সম্প্রতি শোনা গিয়েছে, বকেয়া মহার্ঘ ভাতা মেটানো নিয়ে ইন্টেরিম অর্ডার বা অন্তর্বর্তীকালীন নির্দেশের বেশ কিছু পরিবর্তন চেয়ে ফের একবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছে রাজ্য সরকার। নবান্ন তরফে ‘মডিফিকেশন পিটিশন’ ফাইল করা হয়েছে। তবে বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের গ্রীষ্মাবকাশ চলছে।
কবে মিলবে ডিএ? সূত্রের খবর ইতিমধ্যেই বকেয়ার অংশ মেটাতে তোড়জোড় শুরু করে দিয়েছে রাজ্য সরকার। যাচ্ছে, বকেয়া ডিএ-র অংশ হাতে পাওয়ার আগে WBIFMS পোর্টালে গিয়ে প্রয়োজনীয় ফর্ম পূরণ করতে হতে পারে। একাধিক রিপোর্টে দাবি করা হয়েছিল, বকেয়া ডিএ-র অংশ মেটাতে নতুন পদ্ধতি তৈরি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে নবান্ন।
ভিডিও দেখুন: https://youtu.be/AyJohssEM80?si=lEJTokHPBNNTurw0
নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার করে কর্মীদের বকেয়া ডিএ মেটানো হবে। একটি বেসরকারি সংস্থাকে সেই প্রযুক্তি তৈরির দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। সরকারি কর্মীদের নিজস্ব পোর্টাল ‘ইন্টিগ্রেটেড ফিনানশিয়াল ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’এ গিয়ে ২০০৯ সালে ‘রোপা’ কার্যকর হওয়ার পরে কার্যকালের মেয়াদের তথ্য জানাতে হবে। সব দফতর, সরকার অনুমোদিত এবং সরকার পোষিত স্বশাসিত সংস্থা এবং স্কুল-কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয়ে তথ্য পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হবে এই প্রযুক্তির মাধ্যমে।
সরকারি কর্মীদের ২০০৯ সালের জুলাই থেকে ২০১৯ সালের ডিসেম্বর মাস পর্যন্ত নিজ নিজ কার্যকালের মেয়াদের তথ্য জানাতে হবে সেখানে। এর মাধ্যমে অর্থ দফতর সহজেই কোন আধিকারিক বা সরকারি কর্মচারীকে কত পরিমাণ বকেয়া ডিএ দিতে হবে, সেই বিষয়ে সঠিক তথ্য জানতে পারবে। সরকারকে জুন মাসের মধ্যেই বকেয়া ডিএ মেটাতে হবে। এ বার সরকার কী পদক্ষেপ নিতে চলেছে তা স্পষ্ট করেনি এখনও।