বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ‘দুর্গাপুজোয় (Durga Pujo) বাংলার প্রায় ৪৩ হাজার ক্লাবকে ৬০ হাজার টাকা করে দেওয়া হতে চলেছে’, রাজ্য সরকারের এহেন ঘোষণার পর চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে গোটা বাংলায়। সম্প্রতি, এই সংক্রান্ত ইস্যুতে কলকাতা হাইকোর্টে (Calcutta High Court) একটি জনস্বার্থ মামলা পর্যন্ত দায়ের করা হয় আর অবশেষে সেই মামলার শুনানি চলাকালে হাইকোর্টে দেওয়া হলফনামায় রাজ্যের সাফ দাবি, “তাদের কাছে কর্মচারীদের কোন মহার্ঘ্য ভাতা বকেয়া নেই।”
এদিন কলকাতা হাইকোর্টে অনুদান সংক্রান্ত জনস্বার্থ মামলার শুনানি চলাকালীন এই মামলাটি খারিজ করার পাশাপাশি রাজ্যের তরফ থেকে মামলাকারীর বিরুদ্ধে জরিমানা করার কথা জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রতি বছর দুর্গাপূজা উপলক্ষ্যে বাংলার প্রায় সকল ক্লাবগুলিকে ৫০ হাজার টাকা করে অনুদান দেয় রাজ্য সরকার। তবে এ বছর টাকার অঙ্কের পরিমাণ বাড়িয়ে তা ৬০ হাজার করা হয়েছে। একইসঙ্গে, বিদ্যুতের বিলেও ছাড় দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছে তৃণমূল সরকার। রাজ্য সরকারের এহেন ঘোষণার পর থেকেই তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে নেমেছে বিরোধী দলগুলি। যে মুহূর্তে দাঁড়িয়ে সরকারি কর্মচারীদের ডিএ বকেয়া দিয়ে পড়ে রয়েছে, সেই মুহূর্তে দুর্গাপুজোর অনুদান বাবদ ২৫৮ কোটি টাকা খরচের বিরুদ্ধে প্রশ্ন তোলে বিরোধী দলগুলি।
সম্প্রতি এই সংক্রান্ত ইস্যুতে কলকাতা হাইকোর্টে একটি জনস্বার্থ মামলা পর্যন্ত দায়ের করা হয় এবং সেই মামলাতেই রাজ্যের তরফ থেকে এদিন হলফনামা জারি করা হলো কলকাতা হাইকোর্টে।
এদিন হাইকোর্টে রাজ্য জানিয়েছে যে, বর্তমানে তাদের কাছে কোনো মহার্ঘ্য ভাতা বকেয়া নেই। ফলে সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া ডিএ দেওয়ার বিষয়ে যে অভিযোগ তোলা হচ্ছে, তা কখনোই যুক্তিসঙ্গত নয়। সরকারি কর্মীদের মহার্ঘ ভাতা দেওয়া কিংবা দুর্গা পূজোর অনুদান, এই দুটি একই বিষয় নয়। এছাড়াও রাজ্য সরকার জানিয়েছে যে, “পুজো কমিটিগুলিকে বিদ্যুৎ বিলে কোনরকম ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। ফলে এ মামলার কোনরকম গ্রহণযোগ্যতা নেই।” ফলে অবিলম্বে জনস্বার্থ মামলাটি খারিজ করার পাশাপাশি মামলাকারীর বিরুদ্ধে জরিমানা করারও আর্জি জানিয়েছে রাজ্য।