বাংলা হান্ট ডেস্কঃ ভোট-পরবর্তী হিংসার ঘটনায় আদালতে এর আগেও যথেষ্ট ভর্ৎসনার মুখে পড়তে হয়েছে রাজ্যকে। এমনকি অভিযোগ উঠেছে, পুলিশের চূড়ান্ত নিষ্ক্রিয়তারও। এবার ফের একবার আদালতে ধাক্কা খেলো রাজ্য প্রশাসন। তাও আবার যে ঘটনায় অস্বস্তিতে পরল রাজ্য, তা ঘটেছে স্বয়ং অভিষেক ব্যানার্জীর লোকসভা কেন্দ্রেই।
তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন হাইকমান্ড অভিষেক ব্যানার্জীর লোকসভা কেন্দ্র ডায়মন্ড হারবার। একুশের নির্বাচনে আশানুরূপ ফলাফল করতে পারেনি বিজেপি। আর তারপর থেকেই একের পর এক হিংসার ঘটনা দেখা গিয়েছিল বাংলার নানা প্রান্তে। অভিযোগের তীর উঠেছে তৃণমূলের দিকে। বাদ পড়েনি ডায়মন্ড হারবারও। ডায়মন্ড হারবারেও বেশকিছু পরিবারকে কার্যত হুমকি দিয়ে ঘরছাড়া করার অভিযোগ ওঠে তৃণমূল কর্মীদের বিরুদ্ধে।
সেই সূত্র ধরে আদালতে মামলা করেন আটজন বাসিন্দা। অপরপক্ষে বাসিন্দারা আদালতে নালিশ জানানোর পর তাদের বিরুদ্ধে অস্ত্র রাখার অভিযোগ করেন স্থানীয় তৃণমূল বিধায়ক গিয়াসউদ্দিন মোল্লাও। এই মামলাকে কেন্দ্র করেই ফের আদালতে বড় ধাক্কা খেলো রাজ্য। কারণ বিচারপতি রাজাশেখর মান্থা পরিষ্কার নির্দেশ দিয়েছেন ডায়মন্ডহারবার পুলিশের নেতৃত্বে পরিবারগুলির অবিলম্বে সুরক্ষার ব্যবস্থা করতে হবে এবং তাদের ঘরে ফেরার ব্যবস্থাও করতে হবে।
শুধু তাই নয় বিচারপতি এ দিন ৪৫ দিনের মধ্যে সমস্ত ঘটনার ডিটেল তদন্ত রিপোর্ট আদালতে জমা দিতেও নির্দেশ দেন। পরিবারগুলির নিরাপত্তা যাতে কোনও রকম অসুবিধা না হয় তার জন্য আগামী এক মাস পুলিশ পিকেটিংয়েরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এর আগে জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্ট জমা পড়ার পর থেকেই অস্বস্তিতে পড়ে ছিল রাজ্য সরকার। ফের একবার তাদের সেই অস্বস্তি খানিকটা বাড়ল বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।