বাংলাহান্ট ডেস্ক : সম্প্রতি পঞ্চদশ অর্থ কমিশন তার সুপারিশ পেশ করেছে। তাতে দেখা গিয়েছে যে, কেন্দ্রীয় সরকার (Central Government) রাজ্য সরকারের (State Government) থেকে যে কর আদায় করে তার ৪১% রাজ্যের নিজেরই পাওনা। এবার সেই খাত পূরণ করতে কেন্দ্রীয় সরকার বেশ কিছু টাকা রাজ্যের হাতে তুলে দেয়। যার পরিমাণ ছিল ১৬৫০ কোটি টাকার মতন। এর মধ্যে থেকে বলা হয় যে রাজ্য চাইলে ওই টাকার থেকে ১০০০ কোটি টাকা দিয়ে রাজ্য বিভিন্ন প্রোজেক্ট এবং অন্যান্য উন্নয়নমূলক কাজে ব্যবহার করতে পারবে এবং বাকি ৬৫০ কোটি টাকাকে হিসেব করে নির্দিষ্ট কাজের জন্য ব্যয় করতে।
বলা বাহুল্য, অনেক দিন থেকেই নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) সরকারের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল যে তাঁরা একশ দিনের কাজ (100 Days Work) ও আবাস যোজনা (PMAY) বাবদ রাজ্যের প্রায় ১৫,০০০ কোটি টাকা পাওনা হিসেবে আটকে রেখেছে। সেই টাকা কবে বাংলার কপালে জুটবে সেই বিষয়েও স্পষ্ট করে কোন খবর নেই। এদিকে, এই পঞ্চদশ অর্থ কমিশনে আরও বলা হয় যে, গত বছর বাংলার উদ্দেশ্যে যে পরিমাণ টাকা ধার্য করা হয়, তার বিশেষ কিছু খরচ হয়নি। তবে একশ দিনের কাজ শুরু হলে কেন্দ্র থেকে প্রাপ্ত টাকার মধ্যে কিছুটা খরচ করা হয়।
সূত্রের খবর কেন্দ্র এবার কড়া নির্দেশে টাকা দিতে চলেছে। তাঁদের বক্তব্য হলো এই যে রাজ্যের জন্য কেন্দ্র যত টাকা ধার্য করবে, রাজ্যগুলিকে সেই টাকা খরচ করতে হবে, নইলে রাজ্যকে পরবর্তী বছরের বরাদ্দ টাকা ধার্য করা হবে না। অন্যদিকে নবান্নের পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, এই বরাদ্দ টাকা আটকে এবং রাজ্যের সরকারের কার্যকারিতা সম্বন্ধে প্রশ্ন করা কেন্দ্রীয় সরকারের একমাত্র কাজ হয়ে গেছে। তাঁরা যখন তখন এই টাকার অজুহাত দেখিয়ে রাজ্যকে অপমান করতেও ছাড়ছে না।
তাঁদের অনেকেই দাবী করেন যে এই বকেয়া টাকা না পেলে অনেক সমস্যা হতে পারে। কারণ ওই টাকা দিয়েই একশ দিনের কাজের মাইনে এবং প্রচুর অন্যান্য খাতেও ব্যয় করা হয়। একশ দিনের কাজে বরাদ্দ বন্ধ হওয়ায় নতুন কাজ দেওয়া যাচ্ছে না। ব্লক অফিসে এসে অনেকে কাজ চাইলেও ফিরিয়ে দিতে হচ্ছে। সরাসরি মানুষের জীবিকায় হাত পড়ছে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কেন্দ্রের থেকে রাজ্যের প্রায় ১৫,০০০ কোটি টাকার পাওনা বাকি রয়েছে। যার মধ্যে ৬,৫০০ কোটি টাকা একশ দিনের কাজ যাবৎ এবং বাকি ৮,২০০ কোটি আবাস যোজনার।