বাংলা হান্ট ডেস্কঃ প্রতিশ্রুতি মতই এগোচ্ছে কাজ। বাংলার আবাস যোজনা (Awas Yojana) প্রকল্পে অনুমোদিত তালিকার ১১ লক্ষ উপভোক্তাকে টাকা দেওয়ার কাজ প্রায় শেষের দিকে। এই সময়েই আবাস যোজনা নিয়ে বড় সিদ্ধান্ত নিল রাজ্য সরকার। নতুন করে আটটি জেলার প্রায় এক লক্ষ উপভোক্তাকে অন্তর্ভুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য (West Bengal state government)।
আবাসে আরও এক লক্ষ- Awas Yojana
বহু কাঠ-খড় পুড়িয়েও কেন্দ্রীয় বরাদ্দ না মেলায় নিজের কোষাগার থেকেই আবাসের বাড়ি তৈরি করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে রাজ্য সরকার। আগে দেওয়া কথা মতোই ডিসেম্বর থেকে প্রথম পর্যায়ে ১১ লক্ষেরও বেশি উপভোক্তার জন্য বাড়ি তৈরির প্রথম কিস্তির টাকা দিয়েছে রাজ্য। প্রথম কিস্তিতে ৬০ হাজার টাকা করে বরাদ্দ দেওয়ার কাজ আগেই শুরু হয়েছে। এরই মধ্যে আরও এক লক্ষ উপভোক্তা যুক্ত হতে চলেছে বাংলার আবাসে।
সূত্র বলছে, আবাস (প্লাস) প্রকল্পের তালিকায় মোট উপভোক্তা সংখ্যা ছিল প্রায় ২৮ লক্ষ। যার মধ্যে ১১ লক্ষ উপভোক্তার তালিকাকে কেন্দ্র সরকার ২০২২ এর নভেম্বরে অনুমোদন দিয়েছিল। বাকি যে সংখ্যক উপভোক্তা ছিল তাদের মধ্যে থেকে এই নতুন অন্তর্ভুক্তি।
এই বিষয়ে পঞ্চায়েতমন্ত্রী প্রদীপ মজুমদার বলেন, “উপভোক্তাদের সংখ্যায় যে ব্যবধান তৈরি হয়েছিল, তা পূরণ করতেই পিডব্লিউএল থেকে কিছু উপভোক্তাকে নতুন করে আবাসের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।”
আবাসে কড়াকড়ি
কেন্দ্রীয় সরকার তরফে আবাসের তালিকায় দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে বারে বারে। তাই বাংলার আবাস যোজনায় টাকা উপভোক্তার হাতে পৌঁছানোর আগে ‘কঠোর’ যাচাই হচ্ছে। শেষ মুহূর্তেও পুনর্যাচাই করা হচ্ছে সবটা। যার ফলে ফাইনাল তালিকায় গিয়ে কিছু সংখ্যক করে উপভোক্তা বাদও যাচ্ছেন প্রায় প্রতি জেলায়। এর কারণেই অর্থ বেঁচে যাওয়ায় সেই অর্থে এই অন্তর্ভুক্তি।
লোকসভা ভোটের আগে রাজ্য নিজের বলেই সকলকে আবাসের বাড়ি বানিয়ে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। সেই গত ১৭ ডিসেম্বর আবাসের টাকা দেওয়ার আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় মমতা বলেছিলেন, “জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, এসডিও, বিডিও, ওসি-আইসি সকলের নজরদারিতে আবাসের তালিকা পুনর্যাচাই করে পরে সাধারণের মতামত নিয়ে তালিকা জনসমক্ষেও আনা হয়েছিল। মোট ২৮ লক্ষ উপভোক্তা রয়েছেন।”
আরও পড়ুন: বাংলার বাড়িতে এবার বিরাট চমক মমতার, হবে লক্ষ লক্ষ কর্মসংস্থান
প্রতিশ্রুতি দিয়ে মমতা বলেন, ‘যারা এই দফায় টাকা পাননি, তারা দুঃখ করবেন না, কেন্দ্র টাকা না দিলে তাদেরও দুটো কিস্তিতে আবাসের টাকা দেওয়া হবে। ২০২৬ সালের মধ্যে সব কাজ শেষ করে ফেলব আমরা।”