বাংলাহান্ট ডেস্ক: পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য সরকারকে ২০ লক্ষ টাকা জরিমানা দিতে হবে পরিচালক অনীক দত্তের ছবি ‘ভবিষ্যতের ভূত’কে। বৃহস্পতিবার এমনটাই নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। মুক্তির পর পরেই প্রদর্শন বন্ধ করে দেওয়া হয় এই ছবির। পরে যদিও সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে পুনরায় প্রদর্শন চালু করতে বাধ্য হয় রাজ্য সরকার কিন্তু ততদিনে বেশ ক্ষতি হয়ে গিয়েছিল এই ছবির। তাই এই ক্ষতিপূরণের নির্দেশ শীর্ষ আদালতের।
এদিন সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়ের বেঞ্চ ভবিষ্যতের ভূতকে ২০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণের নির্দেশ দেয় রাজ্য সরকারকে। যত তাড়াতাড়ি সম্ভব দিয়ে দিতে হবে এই টাকা। রাজ্য সরকারকে পাঠানো নির্দেশে আরও জানানো হয়েছে এই ব্যাপারে মুখ্য সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব ও ডিজিপিকে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।
চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পায় অনীক দত্ত পরিচালিত ‘ভবিষ্যতের ভূত’ ছবিটি। তাঁর আগের ছবি ‘ভূতের ভবিষ্যত’-এর জনপ্রিয়তার কথা মাথায় রেখে এই নতুন ছবি দেখার জন্য উদগ্রীব হয়েছিল সিনেপ্রেমীরা। কিন্তু তাঁদের উত্তেজনা একদিন পরেই চূড়ান্ত হতাশায় পরিণত হয়। মুক্তির দিন রাজ্যের মাল্টিপ্লেক্স সহ ছোট হলগুলিতেও হইহই করে চললেও পরের দিনই অর্থাৎ ১৬ ফেব্রুয়ারি থেকে শহরের মাল্টিপ্লেক্স ও সিঙ্গেল স্ক্রিনগুলিতে আচমকা বন্ধ করে দেওয়া হয় এই ছবির প্রদর্শন। যারা ওইদিন ছবিটা দেখতে যায় কোথাও তাদের বলা হয় উঠে গিয়েছে ওই ছবি। আবার কোথাও বলা হয় প্রযুক্তিগত কারণে বন্ধ রয়েছে ছবির প্রদর্শন। পরিচালক অনীক দত্ত জানান, সিবিএফসির ছাড়পত্র পাওয়ার পরেই মুক্তি পেয়েছে এই ছবি। প্রশাসনের তরফেও আচমকা বন্ধ করে দেওয়ার কারণ হিসাবে কিছুই বলা হয়নি তাঁকে।
প্রসঙ্গত, ছবিমুক্তির আগে এক সাংবাদিক সম্মেলনে পরিচালক জানিয়েছিলেন ভূতের ভবিষ্যতের সিক্যুয়েল একেবারেই নয় এই ছবি। বরং সাম্প্রতিক কিছু রাজনৈতিক ও সামাজিক বিষয়কেই ভূতের মুখে সংলাপের আকারে বসিয়েছেন তিনি। সিনেপ্রেমী ও রাজ্যের চলচ্চিত্র বিশেষজ্ঞদের ধারনা সম্ভবত এই কারণেই রোষের মুখে পড়তে হয় এই ছবিকে। ছবির প্রদর্শন বন্ধ করা নিয়ে তোলপাড় শুরু হয় রাজ্যের চলচ্চিত্র মহলে। প্রতিবাদে পথে নামেন সৌমিত্র চট্টোপাধ্যায়, কৌশিক সেন, ধৃতিমান চ্যাটার্জি সহ আরও বহু বিশিষ্টজন। তারপর সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে ফের প্রদর্শন চালু হয় ভবিষ্যতের ভূতের। পুনরায় চালু হওয়ার পর প্রভূত প্রশংসিতও হয় এই ছবি।