বাংলা হান্ট ডেস্কঃ কেন্দ্রীয় সরকারের অন্যতম জনপ্রিয় প্রকল্প হল গ্রামীণ আবাস যোজনা (Awas Yojana)। কিন্তু দীর্ঘ ২ বছর ধরে রাজ্যের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে এই প্রকল্পের টাকা দেওয়া বন্ধ রেখেছে কেন্দ্রীয় সরকার। যা নিয়ে ইতিপূর্বে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে বঞ্চনার অভিযোগ তুলে একাধিকবার সরব হয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
আবাস যোজনায় নবান্নের (Nabanna) একগুচ্ছ নতুন গাইডলাইন
শেষমেষ এই প্রকল্পে নিজস্ব কোষাগার থেকেই টাকা বরাদ্দ করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মমতা। তাই মুখ্যমন্ত্রী নিজেই এই প্রকল্পের নাম ‘বাংলার বাড়ি’ দিয়েছেন। এরইমধ্যে এবার এই আবাস যোজনায় প্রাপকদের তালিকায় নাম না থাকা নিয়ে ইতিমধ্যেই বিভিন্ন জেলাতেও তৈরি হয়েছে বিতর্ক।
তাই অবশেষে চূড়ান্ত তালিকা প্রকাশের পর প্রাপকদের যাতে এলাকায় থ্রেট কালচারের সম্মুখীন হতে না হয় তার জন্যই সতর্ক করল নবান্ন (Nabanna)। জেলাশাসকদের রাজ্য পঞ্চায়েত সচিব পি উল্গানাথন জানিয়ে দিলেন, আবাস তালিকায় নাম না থাকার জন্য কোনো উপভোক্তা বা প্রাপককে ভয় দেখানো হলে তা পুলিশকে জানাতে হবে। এক্ষত্রে কেউ প্ররোচনা দিলেও তার বিরুদ্ধে আইনানুগ কড়া ব্যবস্থা ব্যবস্থা নিতে হবে।
শুধু তাই নয় আগামী সপ্তাহে মঙ্গলবার বা যেকোনো দিনে নির্বাচিত প্রবক্তাদের আবাসনের প্রথম কিস্তির টাকা পাঠানোর জন্য বিভিন্ন জেলার জেলাশাসকদের প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে নবান্ন (Nabanna)। আর সেইসাথে দেওয়া হয়েছে কয়েক গাইডলাইন। যেখানে বলা হয়েছে-
১) গ্রামীণ আবাস যোজনায় শনিবার রাতেই জেলাগুলিকে টাকা বরাদ্দ করা হয়েছে। বিডিও স্তরেও সেই টাকা তখনই বরাদ্দ করতে হবে।
২) উপভোক্তাদের কাছে যেন ভুল বার্তা না যায়। ট্যাব দুর্নীতির মতো যাতে না হয় সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে। তাই একটি ব্লক বা গ্রাম পঞ্চায়েতে জন্য বরাদ্দ টাকা যেন অন্য গ্রাম পঞ্চায়েতে না যায় সেদিকে নজর রাখতে হবে। বিডিওদের একটা বিলও তৈরি করতে হবে।
৩) খেয়াল রাখতে হবে বাংলার বাড়ির উপভোক্তাদের তালিকার সাথে যাতে অসহায় মহিলাদের বাড়ি দেওয়ার প্রকল্পের তালিকার মিশে না যায়।
৪) খুব তাড়াতাড়ি প্রচারের জন্য তালিকা তৈরী করা হবে। যা ছাপিয়ে প্রচার করবে জেলা তথ্য দপ্তর।
৫) উপভোক্তাদের নাম ইউনিক আইডি পোর্টালে তোলা হচ্ছে। তারপরই প্রত্যেকের কাছে কাছে এসএমএস যাবে। শুধুমাত্র সচেতনতামূলক প্রচার করতে হবে।
আরও পড়ুন: পিঠে-পুলি, পায়েস থেকে রসগোল্লা-চাটনি, মিড-ডে মিলে ১৫ ধরনের খাবার, মেনু দেখলে চমকে যাবেন
৬) কেন্দ্রীয়ভাবে কর্মসূচি পালন হবে। সেটা শীঘ্রই জানানো হবে। সেজন্য প্রতিটি জেলা থেকে ২ জন উপভোক্তাকে তৈরি রাখবেন। তাঁর সর্ম্পকে বিস্তারিত তথ্য পঞ্চায়েত দপ্তরে জানিয়ে দিন। নির্দিষ্ট দিনে সময় মতো তাঁরা যাতে কেন্দ্রীয় অনুষ্ঠানে যোগ দিতে পারেন তার ব্যবস্থা করে রাখুন।
৭ ) কোনও নির্বাচিত উপভোক্তাকে কেউ ভয় দেখালে, কিংবা হুমকি দিলে বা প্ররোচিত করলে পুলিশকে জানিয়ে দ্রুত কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে ।
৮) যদি জানা যায় কোনো উপভোক্তা এই প্রকল্পের সুবিধা পাওয়ার যোগ্য নন তাহলে যে কোনও পর্যায়ে তালিকা থেকে নাম বাদ যাবে।
৯) প্রত্যেক ব্লকে একজন ডেপুটি ম্যাজিস্ট্রেট গোটা প্রক্রিয়া তদারকি করবেন। মোট ১১ লক্ষেরও বেশি উপভোক্তা প্রথম কিস্তির টাকা পাবেন।