বাংলা হান্ট ডেস্ক: প্রতিনিয়ত আমাদের যাতায়াত ব্যবস্থার উন্নয়ন কাজ চলছে। রেল থেকে শুরু করে সড়ক পথ সবেই চলছে দেদার উন্নতি। আর এবার পশ্চিমবঙ্গের (West Bengal) জন্য রইল বিরাট সুখবর। রাজ্য সরকার এবার নিজের উদ্যোগেই মুড়ি গঙ্গার উপর দিয়ে বানাবেন সেতু। খুব শীঘ্রই শুরু হবে সেতু তৈরির নির্মাণ কাজ। আর এই সেতুর নাম হচ্ছে “গঙ্গাসাগর সেতু”। আগেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি এই বিষয়ে ঘোষণা করেছিলেন। এবার তা বাস্তবায়িত হতে চলেছে।
পশ্চিমবঙ্গে (West Bengal) গড়ে উঠবে গঙ্গাসাগর সেতু:
জানা গিয়েছে, মুড়ি গঙ্গার ওপর দিয়ে যে “গঙ্গাসাগর সেতু” তৈরি হবে, তা ইতমিধ্যেই ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রায় ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ এই ৪ লেনের সেতু কাকদ্বীপ এবং ওপারে থাকা কচুবেড়িয়াকে যুক্ত করবে। সেইসাথে সেতুর দু’পাশে থাকবে ফুটপাত। আগামী ৪ বছরের মধ্যে এই সেতুর কাজ সম্পন্ন করার সময়সীমা ধার্য করা হয়েছে। কিন্তু এই সেতু নির্মাণের জন্য রাজ্যকে কিনতে হবে মোট ১২.৯৭ একর জমি। যার মধ্যে কাকদ্বীপ অংশে ক্রয় করতে হবে ৭.৯৫ একর এবং কচুবেড়িয়া অংশে ৫.০১ একর জমি ক্রয় করতে হবে। জমি ক্রয় করার পরই শুরু হয়ে যাবে সেতু নির্মাণের কাজ।
কেন্দ্রের আশ্বাসে তৈরি হওয়ার কথা ছিল: তথ্যসূত্রে জানা গিয়েছে, বাংলায় (West Bengal) এই সেতু নির্মাণের আশ্বাস দেয় কেন্দ্র। কিন্তু সেই আশ্বাস পূরণ হয়নি এবং সেতুও নির্মাণ হয়নি। আর ঠিক এই কারণেই কেন্দ্রের অপেক্ষা না করে রাজ্য সরকার এই সেতু নির্মাণের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর এই সেতু নির্মাণের জন্য রাজ্যের খরচ পড়বে প্রায় দেড় হাজার কোটি টাকা। জানা যাচ্ছে খুব শীঘ্রই সেতু নির্মাণের কাজ শুরু হবে। ইতিমধ্যেই সেতুর নকশা প্রকাশ্যে এসেছে। পাশাপাশি সম্পন্ন হয়েছে সেতুর সার্ভে, টেন্ডার, ডিপিআর সংক্রান্ত কাজও। বলা যায়, সেতু নির্মাণের প্রস্তুতি একেবারে তুঙ্গে, আর কোনও দেরি করতে চান না বাংলার সরকার।
আরও পড়ুনঃ ‘জেলের ভেতর বসেই পার্থর সঙ্গে ফোনে কথা হয় মুখ্যমন্ত্রীর’ বিস্ফোরক অভিযোগ
গঙ্গাসাগর সেতুর যে নকশা প্রকাশ্যে এসেছে তাতে দেখা যাচ্ছে এই সেতু সাথে খানিক মিল রয়েছে দ্বিতীয় হুগলি সেতু অর্থাৎ নিবেদিতা সেতুরর। মুড়িগঙ্গা নদীর একদিকে কাকদ্বীপ, আরেকদিকে কচুবেড়িয়া। মুড়িগঙ্গার উপর দিয়ে ৫ কিলোমিটার দীর্ঘ সেতু তৈরি হতে চলেছে, যা এই দুটি জায়গাকে এক করবে। আর এই সেতু নির্মাণের ফলে উপকৃত হবেন বাংলার (West Bengal) বহু মানুষ। বিশেষ করে গঙ্গা মোহনার কাছে অবস্থিত মানুষদের জন্য এই সেতুটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে। কারণ তাদের যাতায়াতের জন্য জলপথের উপর নির্ভর করতে হয়। কিন্তু অনেক সময় জোয়ার ভাটার কারণে যাতায়াতের সমস্যা তৈরি হয়। আর এবার সেই সমস্যাই মিটতে চলেছে।
আরও পড়ুনঃ মকর সংক্রান্তিতেই…! জেলবন্দি পার্থকে নিয়ে বড় খবর! তোলপাড় রাজ্য
প্রসঙ্গত, প্রায় ছ’বছর আগে প্রস্তাবিত তাজপুর বন্দরের অংশীদার করা নিয়ে কেন্দ্রের সাথে কথা বলেছিল রাজ্য। আর তার পরিবর্তে কেন্দ্রকে এই সেতু তৈরি করে দেওয়ার প্রস্তাব দেয় রাজ্য সরকার। আর এই প্রস্তাবে কেন্দ্র সাড়াও দেয় বলে জানা যায়। কিন্তু তারপরও কোনরকমের পদক্ষেপ নিতে দেখা যায়নি কেন্দ্রের তরফ থেকে, এমনই অভিযোগ ওঠে। যার ফলে কিছুটা ক্ষোভ উগড়ে এবং পশ্চিমবঙ্গের মানুষের (West Bengal) কথা ভেবেি এই সেতু নির্মাণে সিদ্ধান্ত নেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।