বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রাজ্যের দোরগোড়ায় পঞ্চায়েত নির্বাচন (Panchayat Election)। দিন কয়েকের অপেক্ষা মাত্র। এই আবহেই আজ বুধবার ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের বাজেট (Budget) পেশ করতে চলেছে রাজ্য সরকার (West Bengal Government)। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে এটাই রাজ্যসরকারের শেষ বাজেট। একেই কয়েক মাস থেকে নিয়োগ দুর্নীতি ইস্যুতে ধুন্ধুমার রাজ্যে। বকেয়া ডিএর দাবিতে রাজপথে কর্মীরা, পাশাপাশি সীমিত আয়ের মধ্যে বেড়েছে খরচের পরিমান। এই অবস্থায় সব দিকটা সামলে রাজ্য সরকারের পরিকল্পনা কিরূপ হয়, সেটাই দেখার বিষয়।
অন্যদিকে, পরের বছর রয়েছে লোকসভা নির্বাচন। ফলে এবারের রাজ্য সরকারি বাজেটে সরকারের রাজনৈতিক বাধ্যবাধকতা যে থাকবেই, তেমনটাই মনে করছেন আর্থিক বিশেষজ্ঞেরা। একেই নানা ইস্যুতে রাজ্য সরকারের ওপর বেশ চাপ রয়েছে, তবে সামাজিক প্রকল্প গুলিও অব্যাহত রাখতে হবে। মনে করা হচ্ছে সামাজিক প্রকল্পে বরাদ্দ বাড়তে পারে সরকার। তো ঋণের বোঝা সামলে সব মিলিয়ে এই এই বাজেট পেশ মমতা সরকারের কাছে পরীক্ষার চাইতে কম কিছু নয়।
যেহেতু রাজ্যের দুয়ারে পঞ্চায়েত নির্বাচন, তাই মনে করা হচ্ছে গ্রামাঞ্চলের মানুষের সুযোগ-সুবিধার ওপর অধিক গুরুত্ব আরোপ করবে রাজ্য সরকার। প্রসঙ্গত, কন্যাশ্রী, স্বাস্থ্য সাথী, লক্ষ্মীর ভাণ্ডারের মত প্রকল্প গুলিতে বিপুল পরিমান অর্থ ব্যায় হয় রাজ্যের। তৃতীয় বারের মতো ক্ষমতায় এসে লক্ষ্মীর ভান্ডার, নতুন কৃষকবন্ধু, পড়ুয়া ঋণকার্ড ও স্বাস্থ্যসাথীর মতো প্রকল্পের পরিধিও বাড়ানো হয়েছে। পাশাপাশি চলছে কন্যাশ্রী, রূপশ্রী, সাইকেল ও ট্যাব বিতরণ, নিখরচায় রেশনের মত আরও একাধিক প্রকল্প। ভোটমুখী বঙ্গে এই সামাজিক কল্যাণ ক্ষেত্রে বরাদ্দ কাটছাঁট একপ্রকার অসম্ভবই বলা যায়।
পাশাপাশি বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা, একশো দিনের কাজের মতো গ্রামীণ প্রকল্পে কেন্দ্রীয় অর্থের সুবিধা পেতে চাইছে রাজ্য সরকার। তবে কেন্দ্র সরকার জানিয়ে দিয়েছে, বিদ্যুৎ ক্ষেত্রে সংস্কার মানলে তবেই রাজ্য ৩.৫% পর্যন্ত রাজকোষ-ঘাটতি রাখতে পারবে। নইলে তা নামিয়ে আনতে হবে তিন শতাংশে।
বছর ঘুরলেই লোকসভা নির্বাচনের বিষয় রয়েছে। যেটাও তৃণমূল সরকারের কাছে এক চ্যালেঞ্জ হয়েই দাঁড়াচ্ছে বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞ মহল। তো ঋণের বোঝা সামলে সামাজিক প্রকল্পে বরাদ্দ কতটা বৃদ্ধি করা যায় সেই দিকেই নজর থাকবে। পাশাপাশি কিছুমাস ধরে বারংবার নিজেদের পানীয় জল, বিদ্যুৎ ইত্যাদির মত সমস্যার কথা সরকারের কাছে পৌঁছে দিয়েছেন সাধারণ মানুষ। সেসব সমস্যা সমাধানের জন্য কী কী পদক্ষেপ নেয় রাজ্য সরকার সেটাই দেখার।