বাংলাহান্ট ডেস্ক: যাঁদের গাড়ি ১৫ বছরের পুরোনো, তাঁদের জন্য রয়েছে বড় খবর। আগামী ১ এপ্রিল থেকে পশ্চিমবঙ্গে ১৫ বছরের পুরোনো গাড়ি বাতিল (Car Scrapping) করে দেওয়া হবে। সেই প্রক্রিয়াও শুরু হবে সেদিনই। পরিবহণ দফতর জানিয়েছে, প্রথমে সরকারি গাড়ি দিয়েই শুরু হবে এই প্রক্রিয়া। তারপর বেসরকারি গাড়ি বাতিল করার প্রক্রিয়া শুরু করবে রাজ্য সরকার।
এ বিষয়ে পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী বলেন, রাজ্যের সমস্ত আরটিও-কে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে এই প্রক্রিয়া শুরু করার জন্য। আগামী ১ এপ্রিল থেকেই এই কাজ শুরু হয়ে যাবে। তিনি বলেন, “জাতীয় পরিবেশ আদালতের নির্দেশ এবং কেন্দ্রের নতুন পরিবহণ নীতির কথা মাথায় রেখেই ১৫ বছরের পুরোনো গাড়ি ধাপে ধাপে বাতিল করা হবে। সেগুলি ভাঙার জন্য জেলায় জেলায় স্ক্র্যাপ ইউনিটও খোলা হবে।”
এই মুহূর্তে রাজ্যের হাতে মাত্র কয়েকটা স্ক্র্যাপ ইউনিট রয়েছে। কিন্তু এত বড় প্রক্রিয়া চালু করতে আরও স্ক্র্যাপ ইউনিটের প্রয়োজন পড়বে। তাই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। এই মর্মে সরকারের তরফে একটি নীতিও তৈরি করা হয়েছে। স্নেহাশিস চক্রবর্তী এ দিন জানান, পুরোনো গাড়ি জমা দেওয়ার পরিবর্তে গাড়ি মালিকরা বৈধ কাগজপত্র পাবেন।
এটি দেখিয়েই আগের বরাদ্দ হওয়া পারমিট দিয়ে নতুন গাড়ি কিনতে পারবেন তাঁরা। এছাড়াও নতুন গাড়ি নেওয়ার আগে পছন্দের নম্বর পাওয়ার জন্য আবেদনও করা যাবে বলে জানিয়েছেন পরিবহণ মন্ত্রী। গাড়ি স্ক্র্যাপ করিয়ে নতুন গাড়ি কেনার ক্ষেত্রে কর ছাড়ও দেওয়ার কথা ভাবছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। রাজ্যের বাজেটেও এ নিয়ে ঘোষণা করতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
তবে এখানে একটি চমক থাকছে। একই নম্বরের জন্য একাধিক ব্যক্তি আবেদন করলে যিনি বেশি দাম দেবেন, তাঁকেই সেই নম্বর দেওয়া হবে। অর্থাৎ নম্বর নিয়ে এক প্রকার নিলাম করা হবে। তবে সাধারণ ক্রেতারা উপলব্ধ নম্বর থেকে নিজের পছন অনুযায়ী নম্বর বেছে নিতে পারবেন। এমনই জানিয়েছেন পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী।