বাংলা হান্ট ডেস্কঃ রেশনের (Ration) দেওয়া চাল খেয়েই বেঁচে থাকেন অনেক পরিবার। তাই চালের পুষ্টিগুণ বজায় রাখতে আর কোনো রকম আপোষ করতে চায় না রাজ্য। এই কারণেই এবার একটি আন্তর্জাতিক সংস্থার সাথে চুক্তি করছে রাজ্যের খাদ্যদপ্তর। জানা যাচ্ছে, কানাডায় নথিভুক্ত নিউট্রিশন ইন্টারন্যাশনাল নামে ওই পুষ্টি বিশেষজ্ঞ সংস্থাটির সদর দপ্তর রয়েছে এদেশের দিল্লিতে।
রেশনের (Ration) চালের জন্য কানাডার সংস্থার সাথে চুক্তি রাজ্যের
রেশনের (Ration) চালের পুষ্টিগুণ বৃদ্ধির জন্য রাজ্যের খাদ্য দপ্তরকে কারিগরি সহায়তা দেবে এই সংস্থা। তার জন্য এখানে একটি প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট ইউনিট গড়বে তারা। এই ইউনিটে রাজ্য পর্যায়ে টেকনিক্যাল কনস্যালট্যান্ট, মনিটরিং অফিসার, সফটওয়্যার ডেভেলপার, কেমিস্ট প্রভৃতি থাকবেন। এই সংস্থার জেলা পর্যায়ে ১৫ জন মনিটরিং অফিসার থাকবেন। জেলার খাদ্য নিয়ামকের অফিসে বসে যাতে জেলা পর্যায়ে অফিসাররা কাজ করতে পারেন তার জন্য তাঁদের জায়গার ব্যবস্থা করার নির্দেশ দিয়েছে খাদ্যদপ্তর। প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট ইউনিটকে প্রয়োজনীয় তথ্য ও পরিসংখ্যান দিতেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সাধারণ মানুষ বিশেষ করে গরিবদের পুষ্টির ঘাটতি দূর করার জন্য সারা দেশজুড়ে রেশনের (Ration) চালের পুষ্টিগুণ বৃদ্ধিসহ, সরবরাহ প্রকল্পটি নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। তবে প্রকল্পটি কেন্দ্রীয় সরকারের হলেও এটি কার্যকর করার জন্য সক্রিয়ভাবে এগিয়ে এসেছে রাজ্য সরকার। জানা যাচ্ছে, সারা দেশের মধ্যে পশ্চিমবঙ্গেই প্রথম এই প্রকল্পটি পুরোপুরি চালু করা হয়।
জাতীয় খাদ্য সুরক্ষা আইনের বাইরে রাজ্য সরকারের নিজস্ব রেশন (Ration) প্রকল্প আয়তভুক্তদের বিশেষভাবে পুষ্টিযুক্ত চাল দেওয়া হয়। কিন্তু ওই পুষ্টিযুক্ত চালের গুণগত মান নিয়ে সম্প্রতি বেশ কিছু অভিযোগ উঠতে শুরু করেছিল। তারপরেই সম্প্রতি রাজ্য সরকার ওই চালের নমুনা উন্নত ল্যাবে নিয়মিত পরীক্ষা করার জন্য উদ্যোগী হয়েছে। তার জন্য ইতিমধ্যেই টেন্ডার ডাকা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘প্রশাসনকেও তা..,’ গুরুতর অভিযোগ সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে, বড় পর্যবেক্ষণ হাইকোর্টের
বিশেষ ব্যবস্থার মাধ্যমেই পুষ্টি সমৃদ্ধ চাল তৈরি করা হয়। সরকারের উদ্যোগে কেনা ধান থেকে নথিভুক্ত রাইস মিলে চাল উৎপাদন করার পর তা রেশন দোকানে পাঠানো হয়ে থাকে। রাইস মিল গুলিতে উৎপন্ন হওয়া সাধারণ চালের সাথে ফর্টিফায়েড রাইস কারনেল (এফআরকে) মেশানো হয়। রাইস কার্নেল মেশানোর একটা নির্দিষ্ট অনুপাত রয়েছে। প্রতি ১০০ কেজি চালের সঙ্গে ১ কেজি এফআরকে মেশানো হয়।
এফআরকে উৎপাদনের জন্য বেশ কিছু ইউনিট রয়েছে রাজ্যে। রাইস মিল মালিকরাই মূলত এই ইউনিটগুলি তৈরি করেছেন। চাল গুঁড়ো করে তার সঙ্গে নির্দিষ্ট অনুপাতে ফলিক অ্যাসিড, আয়রন, ভিটামিন যুক্ত করে এফআরকে উৎপাদন করা হয়। এফআরকে বাইরে থেকে দেখতে সাধারণ চালের মতো। প্রত্যেক বছর শুরুতে এফআরকে কেনার জন্য খাদ্য দপ্তর টেন্ডার ডাকে। এবছর ৪৬,২০০ টন এফআরকের জন্য খাদ্যদপ্তর টেন্ডার ডেকেছে। প্রতিমাসে লাগবে ৩৮৫৩ টন। প্রত্যেক মাসে কোন জেলার জন্য কত পরিমাণ এফআরকে লাগবে, তা নির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। জানা যাচ্ছে বরাত পাওয়া ইউনিটগুলি সরাসরি রাইস মিলে এফআরকে পাঠিয়ে দেয়।