বাংলা হান্ট ডেস্ক: গত দু’বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা করোনার মত ভয়াবহ পরিস্থিতিতে পড়ুয়াদের পড়াশোনার কথা মাথায় রেখে এবং অনলাইন ক্লাসের সুবিধার্থে স্মার্টফোন কিনতে ছাত্রছাত্রীদের অ্যাকাউন্টে ১০ হাজার টাকা করে দেয় রাজ্য সরকার। মূলত, “তরুণের স্বপ্ন” প্রকল্পের অধীনেই এই টাকা দেওয়া হয় পড়ুয়াদের। তবে, এবার ফের চলতি বছরে দ্বাদশ শ্রেণিতে উত্তীর্ণ ছাত্রছাত্রীদের মোবাইল কেনার জন্য ১০ হাজার টাকা করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শুধু তাই নয়, ইতিমধ্যেই গত শুক্রবার এই বিষয়ে একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে স্কুল শিক্ষা বিষয়ক ডিরেক্টরেটের তরফে। পাশাপাশি, এক্ষেত্রেও “তরুণের স্বপ্ন” প্রকল্প থেকেই এই মোবাইল ফোন কেনার ক্ষেত্রে টাকা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এছাড়াও, ওই বিজ্ঞপ্তিতে সংশ্লিষ্ট প্রকল্পের সুবিধা পেতে ছাত্রছাত্রীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের প্রয়োজনীয় তথ্য “আপডেট” করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সর্বোপরি, স্কুলের প্রধান শিক্ষক বা টিচার ইন চার্জদের সঙ্গে কথা বলে সমগ্ৰ বিষয়টি নিশ্চিত করতে ডিআইদেরকেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এদিকে, চলতি বছরে ফের রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে সরাসরি প্রশ্ন তুলছে শিক্ষক সংগঠনগুলি। এই প্রসঙ্গে বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল জানিয়েছেন, ‘‘অতিমারীর সময়ে অনলাইনে পড়াশোনা চলার কারণে আমরাই শিক্ষা দফতরের কাছে ছাত্রছাত্রীদেরকে মোবাইল দেওয়ার দাবি জানাই। কিন্তু, বর্তমান পরিস্থিতিতে আর এগুলো দেওয়ার কোনো প্রয়োজন নেই। ইতিমধ্যেই স্কুল স্বাভাবিক ছন্দে ফিরছে। এই আবহে ফের মোবাইলের জন্য টাকা দেওয়া হচ্ছে। মূলত, ভোটের কথা মাথায় রেখেই সরকার এহেন পদক্ষেপ নিয়েছে।”
এদিকে, ছাত্রছাত্রীদের ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট আপডেট করার প্রসঙ্গে জানা গিয়েছে যে, গত বার অ্যাকাউন্টে মোবাইল কেনার টাকা দিতে গিয়ে দেখা গেছিল, বহু ছাত্রছাত্রীর কোনো ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টই নেই! বা সেটি থাকলেও তা বন্ধ হয়ে গিয়েছে। সর্বোপরি, অনেক ক্ষেত্রে ভুল তথ্য জমা দেওয়ার ফলে সমস্যার সম্মুখীন হয় শিক্ষা দফতরকে। তাই, সময় থাকতে থাকতেই সংশ্লিষ্ট নির্দেশিকা জারি করে স্কুল কর্তৃপক্ষকে সচেতন করা হয়েছে। এমনকি, ব্যাঙ্ক সংক্রান্ত তথ্যে ভুল থেকে যাওয়ায় অনেক পড়ুয়া এই প্রকল্পের টাকা পাননি বলেও জানা যায়। এমতাবস্থায়, চলতি বছর স্কুলগুলিকে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে সমস্ত তথ্য বিকাশ ভবনে জমা দিতে হবে বলে জানা গিয়েছে।