বাংলা হান্ট ডেস্কঃ একেই ডিএ নিয়ে ধুন্ধুমার দশা বাংলায়। অন্যদিকে এবার রাজ্য সরকারি কর্মচারিদের (State Government Employees) জন্য আরও কড়াকড়ি নির্দেশিকা নবান্নের (Nabanna)। এবার থেকে আর টিফিন বিরতিতে আর দফতরের বাইরে যেতে পারবেন না কর্মীরা। ঠিক এই নির্দেশই দেওয়া হয়েছে নবান্ন তরফে। বলা হয়েছে, এই নিয়মের না মানলে সংশ্লিষ্ট সরকারি কর্মীকে ওই দিনের জন্য অনুপস্থিত হিসেবে চিহ্নিত করা হবে। মহার্ঘ ভাতা নিয়ে উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যেই সরকারের এই নির্দেশিকা প্রকাশ্যে আসতে শোরগোল রাজ্যজুড়ে।
ঠিক কী বলা হয়েছে নির্দেশিকায়? গতকাল অর্থাৎ শনিবার রাজ্যের অতিরিক্ত মুখ্যসচিব মনোজ পন্থের তরফে একটি বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সেখানে একটি নির্দিষ্ট সাল-তারিখের উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে, অর্থ মন্ত্রক তরফে জারি করা ওই দিনের বিধি অনুসারে এবার থেকে একটি নির্দিষ্ট সময়ে সরকারি কর্মচারীদের নিজেদের দফতরে আসতে হবে। তবে তারপর দফতর থেকে বেরোতে পারবেন না তারা।
শুধুমাত্র দুপুর ১টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত, আধ ঘণ্টা সময়ের জন্য অফিস থেকে বেরোতে পারবেন কর্মীরা। বিজ্ঞপ্তি অনুসারে, কোনও সময় জরুরি প্রয়োজনে বা অন্য কোনো ক্ষেত্রে অফিস থেকে বেরোতে হলে তাকে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে। কেউ এই নিয়ম ভঙ্গ করলে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ করা হবে বলেও সাফ জানানো হয়েছে।
প্রসঙ্গত, সোমবার থেকে মহার্ঘ ভাতার দাবিতে কর্মবিরতির পথে হাঁটছেন রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের একাংশ। তার ঠিক দুদিন আগেই সরকার তরফে দেওয়া এই বিজ্ঞপ্তি যথেষ্টই তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। তবে শুধুমাত্র এই চারটি নির্দিষ্ট কারণে ছুটি নিতে পারবেন সরকারি এবং সরকার পোষিত প্রতিষ্ঠানের কর্মীরা…
কোনও সরকারি কর্মচারী হঠাৎ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হলে বা পরিবারে নিকটাত্মীয় কেউ মারা গেলে কিংবা কেউ মাতৃত্বকালীন এবং অসুস্থতাজনিত ছুটিতে থাকলে, তাদের ছুটি মঞ্জুর হবে। ১৯ তারিখ থেকে শারীরিক অসুস্থতাজনিত কারণে কেউ অনুপস্থিত থাকলে, তাদের বিরুদ্ধেও কোনো পদক্ষেপ করা হবে না। পাশাপাশি, কর্মীরা গরহাজির থাকলে অনুপস্থিতির কারণ সবিস্তার জানাতে হবে। তারপর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষর সম্মতি মিললে তবেই মঞ্জুর হবে ছুটি। ইতিমধ্যেই সরকারের এই টিফিন বিরতির প্রতিবাদে ক্ষোভে ফুসছেন সরকারি কর্মীরা। তারা বিক্ষোভেও সামিল হবেন বলে জানিয়েছেন।