বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর কাণ্ডের (RG Kar Case) প্রতিবাদে সরব হয়েছিলেন চিকিৎসকদের একটি বৃহৎ অংশ। পথে নেমে আন্দোলন করেছিলেন অনেকে। সেই ‘সুযোগ’কে কাজে লাগিয়ে ডাক্তারদের একাংশ আবার দেদার প্রাইভেট প্র্যাকটিস করেছিলেন বলে অভিযোগও ওঠে। যা নিয়ে বিস্তর জলঘোলা হয়েছিল। এবার এই নিয়ে কড়া নির্দেশিকা জারি করল স্বাস্থ্য দফতর (West Bengal Health Department)। ইতিমধ্যেই তা নিয়ে শুরু হয়েছে চর্চা।
স্বাস্থ্য দফতরের (West Bengal Health Department) নয়া নির্দেশিকায় শোরগোল!
সম্প্রতি সরকারি চিকিৎসকদের (Government Doctors) উদ্দেশে নতুন ফরমান জারি করেছে স্বাস্থ্য দফতর। সেখানে কার্যত সময়সীমা বেঁধে দিয়ে জানানো হয়েছে, কোনও সরকারি শিক্ষক-চিকিৎসক সোমবার থেকে শনিবার অবধি সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৪টে অবধি প্রাইভেট প্র্যাকটিস করতে পারবেন না। একইসঙ্গে আরও বেশ কিছু নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
সম্প্রতি রাজ্যের স্বাস্থ্য সচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম এই ৮ পাতার নির্দেশ জারি করেন (West Bengal Health Department)। সেখানে সরকারি শিক্ষক-ডাক্তারদের ডিউটি রোস্টার বানিয়ে দেওয়া হয়েছে। একইসঙ্গে বলা হয়েছে, একটানা ১২ ঘণ্টার বেশি ডিউটি করা যাবে না। তবে সকল শিক্ষক-ডাক্তারকে এক সপ্তাহে অন্তত ৪২ ঘণ্টা ডিউটি করতে হবে।
আরও পড়ুনঃ আচমকাই অজ্ঞান হয়ে হাসপাতালে ভর্তি! এখন কেমন আছেন কালীঘাটের কাকু? যা জানালেন আইনজীবী…
এখানেই শেষ নয়! নয়া নির্দেশিকায় বলা হয়েছে, যে চিকিৎসক রাতে অন কল ডিউটিতে থাকবেন, তিনি পরের দিন ‘ডে অফ’ নিতে পারবেন না। এর পাশাপাশি জরুরি পরিষেবার উন্নতি, রোগী স্বার্থ এবং রাজ্যের মেডিক্যাল কলেজগুলিতে গবেষণার উন্নতির স্বার্থে বেশ কিছু নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্য দফতরের নয়া নির্দেশিকা অনুযায়ী, প্রত্যেক রাতে নানান বিভাগের কোনও না কোনও শিক্ষক-ডাক্তারকে থাকতে হবে। বর্তমানে আরএমও কাম ক্লিনিক্যাল টিউটরের পদ নেই। ফলে নানান মেডিক্যাল কলেজের সহকারী অধ্যাপকদের সেই পদের দায়িত্ব গ্রহণ করতে হবে। সেই সঙ্গেই জানানো হয়েছে, একযোগে এক ইউনিটের দু’জনের অধিক শিক্ষক-ডাক্তার ছুটিতে থাকতে পারবেন না।
স্বাস্থ্য দফতরের (West Bengal Health Department) তরফ থেকে স্পষ্ট জানানো হয়েছে, অফ ডে ছাড়া বাকি দিনগুলিতে উপস্থিতি বাধ্যতামূলক। সেই সঙ্গেই জরুরি বিভাগেও পর্যাপ্ত সংখ্যক কর্মী থাকতে হবে। এছাড়া বলা হয়েছে, সপ্তাহে ৬ দিন কমিউনিটি মেডিসিন বিভাগকে জেনারেল আউটডোর চালাতে হবে। ভর্তি থাকাকালীন যদি কোনও রোগীর মৃত্যু হয়, তাহলে ‘ডেথ অডিট’ বাধ্যতামূলক বলে নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে।