বাংলা হান্ট ডেস্কঃ জুনিয়র ডাক্তারদের কর্মবিরতির মাঝেই কিছু চিকিৎসক বেসরকারি হাসপাতালে পরিষেবা দিচ্ছেন! আরজি কর কাণ্ডের আবহে জুনিয়র ডাক্তারদের সঙ্গে বৈঠকের সময় এই অভিযোগ করেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও এই প্রথম নয়, অতীতেও এই অভিযোগ উঠেছে বহুবার। এমতাবস্থায় এবার কড়া সিদ্ধান্ত নিল স্বাস্থ্য ভবন (West Bengal Health Department)।
সরকারি ডাক্তারদের নিয়ে কড়াকড়ি স্বাস্থ্য ভবনের (West Bengal Health Department)!
সরকারি চিকিৎসক। সরকারি হাসপাতাল থেকে মাইনে সহ অন্যান্য সুযোগ সুবিধা মিলছে। তা সত্ত্বেও অনেকে বেসরকারি হাসপাতালের সঙ্গে যুক্ত। সেখান থেকে আয় হচ্ছে মোটা টাকা। মাঝেমধ্যেই সরকারি ডাক্তারদের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ উঠতে দেখা যায়। এমতাবস্থায় এবার কড়া সিদ্ধান্ত নিল স্বাস্থ্য ভবন (Swasthya Bhaban)। সরকারি চিকিৎসকরা বেসরকারি নার্সিংহোম অথবা হাসপাতালে যুক্ত হতে গেলে দরকার হবে এনওসি। জানা যাচ্ছে, ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্য ভবনের এই প্রস্তাবে নবান্ন সম্মতি প্রদান করেছে।
কোনও সরকারি ডাক্তার (Government Doctors) যদি বেসরকারি হাসপাতাল অথবা নার্সিংহোমে প্র্যাকটিস করেন, তাহলে এনওসি দরকার হবে। ২০১৭ সালের ক্লিনিক্যাল এস্ট্যাবলিশমেন্ট আইনেই এই নিয়ম রয়েছে বলে খবর। এতদিন অবধি এই নিয়ে কড়াকড়ি করেনি স্বাস্থ্য দফতর। তবে এবার তারা কড়াকড়ির পথেই হাঁটতে চলেছে বলে জানা যাচ্ছে।
আরও পড়ুনঃ বাড়তি রেশন থেকে মহিলাদের অ্যাকাউন্টে ১০০০ টাকা! দীপাবলির আবহে বিরাট ঘোষণা রাজ্য সরকারের
এবার থেকে সরকারি ডাক্তারদের স্বাস্থ্য ভবনের তরফ থেকে এনওসি (NOC) দেওয়া হলেই তাঁরা বেসরকারি হাসপাতাল কিংবা নার্সিংহোমে প্র্যাকটিস করতে পারবেন। অস্ত্রোপচারের ক্ষেত্রেও এটি বাধ্যতামূলক করা হবে বলে খবর। এদিকে এনওসি নিয়ে এই কড়াকড়ির খবর প্রকাশ্যে আসতেই এতদিন কেন এই কড়াকড়ি হল না, দেখা দিয়েছে এই প্রশ্ন।
এই প্রসঙ্গে স্বাস্থ্য ভবনের (West Bengal Health Department) যুক্তি, এনওসি ব্যবস্থা চালু হলে যে সকল মানুষ আর্থিকভাবে স্বচ্ছল তথা যারা বেসরকারি হাসপাতালে পরিষেবা নিতে সক্ষম, তাঁরা অসুবিধার সম্মুখীন হতেন। সেই সঙ্গেই রাজ্যের বহু বেসরকারি হাসপাতালে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের সুবিধা পাওয়া যায়। সরকারি ডাক্তারদের একাংশ বেসরকারি হাসপাতাল, নার্সিংহোমে পরিষেবা দিচ্ছিলেন বলে এই সুবিধা মিলছিল বলে খবর। এমতাবস্থায় এবার স্বাস্থ্য ভবনের তরফ থেকে এনওসি সংক্রান্ত নিয়ম নিয়ে কড়াকড়ি করে দেওয়ায় বেসরকারি হাসপাতাল, নার্সিংহোমগুলির ভবিষ্যৎ কী হবে সেটা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে।