বাংলা হান্ট ডেস্ক : বড় পদক্ষেপ করল পুরসভা। বেলগাছিয়া ভাগাড়ে (Belgachia Dump Site) জঞ্জালের পাহাড় কাটার কাজ করা হবে বলে আগেই জানিয়েছিল হাওড়া পুরনিগম (Howrah Municipality)। এই ভাগাড়ের পাহাড় এলাকার লোকজনের অসুস্থ হয়ে পড়ার জন্য যথেষ্ট। শহরের সমস্ত জঞ্জাল ও আবর্জনা হাওড়া পুরনিগমের গাড়ি নিয়ে গিয়ে ফেলে বেলগাছিয়া ভাগাড়েই।
দিনের পর দিন ধরে নোংরা জমে বেলগাছিয়া ভাগাড় কার্যত তিনটি পাহাড় হয়ে গিয়েছে। আর এই জঞ্জালের স্তূপের আশপাশে যে সমস্ত বাসিন্দা বছরের পর বছর বসবাস করছেন, তাঁরা অসুস্থ হয়ে পড়ছেন। দূষিত হচ্ছে পরিবেশ। এই পরিস্থিতি থেকে সাধারণ মানুষকে রেহাই দিতে বেলগাছিয়া ভাগাড়ে বর্জ্য ব্যবস্থাপনা করছে রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর।
বেলগাছিয়া ভাগাড়ের সমস্ত আবর্জনাকে পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে তোলা হবে। বিভিন্ন সংস্থাকে দিয়ে পচনশীল ও অপচনশীল বর্জ্যকে পৃথক করে বা বায়োমাইনিং পদ্ধতিতে এই কাজ করা হবে। ফলে বেলগাছিয়া ভাগাড়ের ওই পাহাড় বা জঞ্জালের স্তূপ আর থাকবে না। আর নতুন করে যে বর্জ্য ওই ভাগাড়ে গিয়ে পুরনিগম ফেলবে সেগুলিকেও একইভাবে পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে তোলা হবে।
বর্তমানে প্রায় ১০ লক্ষ মেট্রিক টন আবর্জনা রয়েছে বেলগাছিয়া ভাগাড়ে। প্রত্যেকদিন ৫০০ থেকে ৬০০ মেট্রিক টন জঞ্জাল জমা হয় এখানে। আবর্জনাকে পুনর্ব্যবহারযোগ্য করে তোলার পর এই ভাগাড়কে ওয়েস্ট ম্যানেজমেন্ট পার্ক তৈরিরও পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে। হাওড়া পুরনিগমের দাবি, দেশের মধ্যে প্রথম হাওড়াতেই এই ধরনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা প্রকল্প করা হচ্ছে।
প্রায় ৭০ কোটি টাকা ব্যয় করে এই দীর্ঘদিনের জঞ্জাল সাফাইয়ের কাজ হবে। যন্ত্রের মাধ্যমে এই স্তূপ পরিষ্কার করা হবে। এরপর শাক, সবজির মতো পচনশীল বর্জ্য এবং প্লাস্টিকের মতো অপচনশীল বর্জ্যকে আলাদা করে চাষিদের এমনকী বিভিন্ন সংস্থাকে দেওয়া হবে। বর্জ্য পুনর্ব্যবহার করা হবে।