বাংলা হান্ট ডেস্কঃ আরজি কর কাণ্ডে এবার আরও বিপাকে সন্দীপ ঘোষ (Sandip Ghosh)। আরজি করের আর্থিক দুর্নীতির মামলায় আজ চার্জ গঠনের দিন। এই একইদিনে এবার বড় নির্দেশ দিয়ে দিল রাজ্য মানবাধিকার কমিশন। জানা যাচ্ছে, মর্গে বেনিয়মের অভিযোগে সন্দীপ সহ আরো দুজন প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য মানবাধিকার কমিশন।
জোড়া চাপে সন্দীপ ঘোষ (Sandip Ghosh)
আর্থিক দুর্নীতির মামলার চার্জ গঠনের পাশাপাশি মর্গে বেনিয়মের অভিযোগ সংক্রান্ত ঘটনায় আরজিকরের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপ ঘোষ (Sandip Ghosh) এবার জোড়া চাপে। সন্দীপ ঘোষ ছাড়াও এই মামলায় আরও দুই প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বলেছে রাজ্য মানবাধিকার কমিশন। এই তিনজনের বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে? বা কি ধরনের ব্যবস্থা নেওয়ার কথা চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে? সেই সম্পর্কিত তথ্যও আগামী তিন মাসের মধ্যে রাজ্য সরকারকে জানানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত বছরের আগস্ট মাসে আরজি করের তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় অভিযোগ উঠেছিল বিনা অনুমতিতে মর্গের পাঁচটি দেহ ময়নাতদন্তের আগেই সেমিনারে অস্ত্রপ্রচারের জন্য ব্যবহার করা হয়েছে। অভিযোগ ওঠে আর জি কর মেডিক্যালের এই ঘটনায় সন্দীপ ঘোষ (Sandip Ghosh) ছাড়াও অভিযুক্ত দুই প্রাক্তন বিভাগীয় প্রধান। তাঁদের মধ্যে একজন হলেন আরজি করের ফরেন্সিক মেডিসিন বিভাগের প্রাক্তন প্রধান প্রবীর চক্রবর্তী। বর্তমানে তিনি একটি বেসরকারি মেডিক্যাল কলেজে কর্মরত। অপরজন হলেন আর জি করের ENT বিভাগের প্রাক্তন প্রধান ইন্দ্রনাথ কুণ্ডু। বর্তমানে বাঁকুড়া সম্মিলনী মেডিক্যালে বিভাগীয় প্রধান পদে রয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: সুবর্ন সুযোগ! বাড়ি থেকে ডেকে চাকরি দিচ্ছে রাজ্য! কীভাবে মিলবে কাজ?
মর্গ থেকে সেমিনারে দেহ পাঠানোর ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা রজু করেছিল রাজ্য মানবাধিকার কমিশন। কমিশনের তরফে বলা হয় দেহগুলির গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গে এন্ডোস্কোপ ব্যবহার করে সাইনাস সার্জারি ট্রেনিং হয়েছিল। যার ফলে বহু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রমাণ নষ্ট হয়েছে। এই ঘটনায় সন্দীপ ঘোষ প্রবীর চক্রবর্তী এবং ইন্দ্রনাথ কুন্ডুর বিরুদ্ধে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে তদন্তকে ভুল পথে চালিত করার চেষ্টার অভিযোগ উঠেছিল। রাজ্য মানবাধিকার কমিশনের রিপোর্টে বলা হয় হাইকোর্ট সুপ্রিম কোর্ট সমস্ত গাইডলাইন অগ্রাহ্য করে এমন কাজ করা হয়েছে যা মৃতদেহের মর্যাদা লঙ্ঘিত করেছে।
শুধু তাই নয়, আরজি কর কলেজের অধ্যক্ষ থাকাকালীন সন্দীপ ঘোষের বিরুদ্ধে একাধিক আর্থিক দুর্নীতির পাশাপাশি আর জি কর মেডিকেলের মর্গেও নানান বেনিয়মের অভিযোগ উঠেছিল। ২০২৩ সালের ৫ জানুয়ারি আরজিকর হাসপাতালের নেট বিশেষজ্ঞদের সর্বভারতীয় সংগঠনের একটি ওয়ার্কশপ ছিল। জানা যায় সন্দীপ ঘোষের নির্দেশে পুলিশের আনা পাঁচটি ফ্রেশ বডি নিয়ম বহির্ভূতভাবে মর্গ থেকে অ্য়ানাটমি বিভাগে পাঠানো হয় বলে অভিযোগ ওঠে। ওয়ার্কশপে যে দেহগুলি ব্যবহার করা হয়েছিল তাঁদের পরিবারকে সেই সম্পর্কে কিছু জানানো হয়নি বলে অভিযোগ ওঠে। আরজিকর আর্থিক দুর্নীতি মামলার তদন্তেও ওই বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত হয়।